1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিষেধাজ্ঞার তলে পড়তে যাচ্ছে লিবিয়া

২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১

লিবিয়াকে একঘরে করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে৷ যুক্তরাষ্ট্রের পর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা আসতে যাচ্ছে জাতিসংঘ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও৷

https://p.dw.com/p/10Pya
জাতিসংঘে ভাষণ দিচ্ছেন লিবীয় রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ শালঘামছবি: picture alliance/dpa

জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা

আজই একটু পরেই নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক বসতে যাচ্ছে৷ শুক্রবারও তারা এক দফা আলোচনা করেছেন৷ ইতিমধ্যে নিষেধাজ্ঞার খসড়া তৈরি হয়ে গেছে৷ আজ আলোচনার পর সেটা চূড়ান্ত করা হবে৷ খসড়ায় অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা, গাদ্দাফি ও তাঁর সহযোগীদের উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার কথা বলা হয়েছে৷ এছাড়া সাধারণ জনগণের উপর আক্রমণ চালানোকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বলে বিবেচনা করার কথা বলা হয়েছে৷ তবে আলোচনায় বেশ জমে উঠতে পারে৷ কারণ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য চীন ও রাশিয়া সাধারণত নিষেধাজ্ঞা জাতীয় বিষয়ের পক্ষে নয়৷ তারা এটাকে কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ মনে করে৷ এদিকে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন আজ টেলিফোনে আলাপকালে লিবিয়ার উপর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিষেধাজ্ঞা আরোপ সম্ভব, সেটা করতে বলেছেন৷ তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা আসা উচিত বলে মনে করেন৷

ইইউ'র নিষেধাজ্ঞা

ইইউ'র পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ক্যাথেরিন অ্যাশ্টন বলেছেন গতকালই ইউরোপের সব সরকার নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে ঐক্যমতে পৌঁছেছেন৷ তবে চূড়ান্ত ঘোষণা আসবে আগামী সপ্তাহের শুরুতে৷ অ্যাশ্টনের এই কথা থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার হলো৷ সেটা হচ্ছে, নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে ইটালির সমর্থন নাও থাকতে পারে বলে যে অভিযোগ উঠেছিল সেটা দূর হলো৷ ইটালির বিরুদ্ধে এই অভিযোগের কারণ দেশটি ইউরোপে লিবিয়ার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ রাষ্ট্র৷ জাতিসংঘের পক্ষ থেকে যে ধরনের নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হচ্ছে ইইউ'র নিষেধাজ্ঞা অনেকটা সেরকমই হবে৷

লিবিয়ার রাষ্ট্রদূতের আবেগঘন বক্তব্য

রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ শালঘাম গাদ্দাফির ছোটবেলার বন্ধু ছিলেন৷ ছিলেন লিবিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীও৷ তাই গাদ্দাফির সঙ্গে তাঁর বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্কই ছিল বলে মনে করা হয়৷ সেই তিনি জাতিসংঘে ভাষণ দিতে গিয়ে আবেগঘন হয়ে পড়েন৷ তাঁর চোখে পানি এসে যায়৷ তিনি গাদ্দাফিকে যে করেই হোক থামাতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান৷ তিনি বলেন যত দেরি হবে তত নিষ্পাপ লোক মারা যাবে৷ তাঁর এই বক্তব্য শেষে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন ও অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরা কোলাকুলি করে তাঁকে স্বান্তনা দেন৷ এরপর ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত বলেন, লিবীয় রাষ্ট্রদূতের এধরনের বক্তব্যের পর নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিক্রিয়ায় পুরোপুরি পরিবর্তন হয়ে যাবে৷ অর্থাৎ কেউ যদি নিষেধাজ্ঞার বিপক্ষে থাকে তবে তিনিও তাঁর মত পরিবর্তন করবে৷ তিনি এটাকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত' বলে অভিহিত করেন৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য