1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুদ্ধের পক্ষে সাফাই, বিনিয়োগের আহ্বান পুটিনের

১৮ জুন ২০২২

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন নিজের শহর সেন্ট পিটার্সবার্গের একটি ব্যবসায়িক ফোরামে বক্তৃতায় বলেছেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সফল হবে না৷ এর পাশাপাশি তিনি ব্যবসায়ীদের রাশিয়ায় বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান৷

https://p.dw.com/p/4Ct21
পুটিন ইউক্রেনে যুদ্ধের পক্ষে নিজের যুক্তি তুলে ধরেন
পুটিন ইউক্রেনে যুদ্ধের পক্ষে নিজের যুক্তি তুলে ধরেনছবি: Pavel Bednyakov/SNA/IMAGO

শুক্রবার বক্তৃতা দেয়ার সময় পুটিন ইউক্রেনেযুদ্ধের পক্ষে নিজের যুক্তি তুলে ধরেন৷ পাশাপাশি বলেন, ‘যারা চায় তাদের সঙ্গে' অর্থনৈতিক সহযোগিতার হাত বাড়াবে রাশিয়া৷

ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন ‘প্রয়োজনীয়'

সেন্ট পিটার্সবার্গ আন্তর্জাতিক ফোরামে বক্তৃতার সময়, ইউক্রেনে আগ্রাসনকে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান' বলে উল্লেখ করেন তিনি৷ পুটিন বলেন, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতিতে, আমাদের জন্য ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি এবং হুমকির ফলে রাশিয়া একটি বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়৷ এই সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন ছিল৷ তবে এই অভিযান বাধ্যতামূলক এবং প্রয়োজনীয়৷''

পুটিন বারবার বলেন, প্রাথমিকভাবেইউক্রেনের পূর্ব ডনবাস অঞ্চলে রুশভাষী লোকদের ‘রক্ষা' করতেই এই অভিযান করেছিল রাশিয়া৷

রাশিয়ার ‘দাভোস'-এ আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিরা নিখোঁজ!

পুটিনের নিজের শহর সেন্ট পিটার্সবার্গ৷ সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের প্রেক্ষিতে রাশিয়ার উত্তর হিসাবে এই শহরে ফোরামের আয়োজন করা হয়৷ বিগত বছরগুলিতে যে পশ্চিমা কোম্পানি এবং বিনিয়োগকারীরা এসেছিলেন, ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলে তাদের কারো দেখা মেলেনি চলতি বছরে৷

রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের ময়দানে মা-মেয়ে

প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘অভিযান'-এর কারণে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেন পুটিন৷ তার কথায়, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা সফল হওয়ার কোন সম্ভাবনা শুরু থেকেই ছিল না৷ পুটিন বলেন, ‘‘আমরা শক্তিশালী এবং আমরা যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারি৷''

পুটিনের বক্তব্য, রাশিয়া ‘উদার অর্থনীতি' নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পথ অব্যাহত রাখবে৷ পাশাপাশি রুশ কোম্পানিগুলিকে দেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান তিনি৷ তার বিশ্বাস, ম্যাকডোনাল্ডস এবং মাইক্রোসীফটের মতো যেসব প্রতিষ্ঠান রাশিয়া ছেড়ে গেছে তাদের বিকল্প সহজেই মিলবে৷

পুটিন বলেন, ‘‘আমরা অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক করছি৷ আমরা আর্থিক বাজার, ব্যাংকিং ব্যবস্থা, বাণিজ্য ব্যবস্থাকে স্থিতিশীল করেছি৷''

প্রথম দিকে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ফলে চাপে পড়লেও বিশ্ববাজারে জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের উচ্চমূল্য রাশিয়ার রপ্তানি আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে৷ তবে দেশটির সরকারি হিসাবেই চলতি বছর মূল্যস্ফীতির হার ১৬ দশমিক সাত শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে৷ এটি যথেষ্ট বেশি বলে স্বীকার করেছেন পুটিনও৷

অনলাইনেও ইউক্রেন-রাশিয়া লড়াই

ক্রমবর্ধমান খাদ্যমূল্যের জন্য দোষারোপ

রুশ নেতা বিশ্বব্যাপী শস্যের দাম বৃদ্ধির বিষয়েমন্তব্য করেছেন৷ আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের মতো অঞ্চলে খাদ্য সংকটের কথা বলেছেন৷

পুটিনের দাবি, ইউক্রেন দেশটির বন্দরের চারপাশে ‘মাইন' স্থাপন করে শস্য রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে৷ যদিও ইউক্রেনের শস্য সরবরাহ বিশ্ব অর্থনীতির জন্য নগণ্য৷

পুটিনের অভিযোগ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ টাকা ছাপিয়ে বিশ্ববাজার থেকে খাদ্য ‘ছিনতাই করছে'৷ মস্কো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে খাদ্য ও সার রপ্তানি বাড়াবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি৷

আরকেসি/এফএস (রয়টার্স, ডিপিএ)