1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইউক্রেন

নিজেকে পিটার দ্য গ্রেটের সঙ্গে তুলনা পুটিনের

১০ জুন ২০২২

পিটারের মতোই তিনি রাশিয়ার জমি পুনর্দখল করছেন বলে দাবি করেছেন পুটিন। এদিকে ডনবাস এখনো ইউক্রেনের হাতছাড়া হয়নি বলে দাবি সেনার।

https://p.dw.com/p/4CVMI
ইউক্রেন
ছবি: Francisco Seco/AP Photo/picture alliance

বৃহস্পতিবার পিটার দ্য গ্রেটের ৩৫০ বছরের জন্মদিন উদযাপিত হয়েছে রাশিয়ায়। রাশিয়ার এই বিখ্যাত সম্রাট একসময় বিপুল পরিমাণ অঞ্চল দখল করেছিলেন। সে সময় যে অঞ্চলকে সুইডেন বলে মনে করা হতো। পিটারের গুণগান করতে গিয়ে এক সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন বলেন, তিনিও পিটারের মতোই দেশের জমি পুনর্দখলের কাজে নেমেছেন। পিটার দ্য গ্রেট পরবর্তীকালে নিজের নাম সেন্ট পিটার্সবার্গ রাখেন। তার নামেই নামকরণ হয়েছে পুটিনের জন্মস্থান সেন্টপিটার্সবার্গ।

পুটিনের এই বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে সরব হয়েছে ইউক্রেন। তাদের বক্তব্য, এ কথা বলে পুটিন দখল করা অঞ্চলকে বৈধতা দিতে চাইছেন। কিন্তু বিশ্ব কূটনীতি তা মানতে পারে না। কূটনীতিকদের ঠিক করে নিতে হবে, কোথায় তারা সীমান্ত চিহ্নিত করবেন। রাশিয়ার দাবি এভাবে মুখ বুজে মেনে নেওয়া ঠিক হবে না।

বন্দিদের মৃত্যুদণ্ড

সম্প্রতি দুই যুক্তরাজ্যের এবং এক মরোক্কোর বন্দিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে রাশিয়ার দখলে থাকা অঞ্চলের আদালত। ওই তিন যোদ্ধাকে ইউক্রেন থেকে গ্রেপ্তার করেছিল রাশিয়ার সেনা। ওই তিন যোদ্ধাই স্বীকার করেছেন যে, তারা ইউক্রেনে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তবে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন বলে তারা স্বীকার করেননি। মারিউপলের কারখানা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বলে রাশিয়ার সেনার দাবি। চলতি সপ্তাহেই তাদের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা হয়েছে।

সিভিয়েরোদোনেৎস্ক দখলের চেষ্টায় রাশিয়া

ইউক্রেন এই রায়ের তীব্র বিরোধিতা করেছে। ইউক্রেনের দাবি, ওই তিন যোদ্ধাকেও ইউক্রেনের যুদ্ধবন্দিদের সমান মর্যাদা দিতে হবে। যুদ্ধবন্দিদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া যায় না। সুতরাং ওই তিনজনকেও তা দেওয়া যাবে না। অবিলম্বে যুদ্ধবন্দিদের মুক্তির দাবি করেছে ইউক্রেন। দেশের দুই নাগরিককে বাঁচাতে চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাজ্যও। 

সিভিয়েরোদনেৎস্কের যুদ্ধ

গত কয়েকসপ্তাহ ধরে ডনবাস অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শহর সিভিয়েরোদনেৎস্কে প্রবল লড়াই চলছে। রাশিয়া দাবি করেছিল, ওই অঞ্চল তারা দখল করে নিয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবারও ইউক্রেনের সেনা দাবি করেছে, সেখানে ইউক্রেনের সেনা তীব্র লড়াই চালাচ্ছে। শহরটি এখনো রাশিয়ার দখলে চলে যায়নি। বস্তুত, ডনবাসের একটি বড় অংশ এখন রাশিয়ার দখলে। কিন্তু সিভিয়েরোদনেরস্ক শহরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্ট্র্যাটেজিকও বটে।

আহত ইউক্রেনীয়দের চিকিৎসা

সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল জার্মানি। দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আহত ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের সবরকম চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। বস্তুত, এর আগে ইউক্রেনের সেনাদের জার্মানিতে এনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিল জার্মানি।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি, ডিপিএ)