1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুম্বইয়ে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে

১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ভারতের মুম্বইয়ে শতবর্ষী এক ভবন ধসে পড়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে৷ এ পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷ উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, ভবনের ধংসস্তূপের নীচে এখনো মানুষ আটকা পড়ে আছে৷

https://p.dw.com/p/2jCH0
Indien | Gebäudeeinsturz - Einsatzkräfte suchen nach Überlebenden
ছবি: Reuters/A. Andrade

এ সপ্তাহে গত ১২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানীমুম্বইয়ে৷ মঙ্গলবার বৃষ্টি থামলেও জনজীবন পুরোপুরি স্বাভাবিক হওয়ার আগেই ঘটে মর্মান্তিক এই ঘটনা৷ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে শহরের ভেন্ডি বাজার এলাকায় ধসে পড়ে ১১৭ বছরের পুরনো একটি ছয়তলা ভবন৷ ছ'বছর আগে ভবনটিকে ‘বিপজ্জনক' এবং ‘বসবাসের অনুপযোগী' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল৷ প্রবল বর্ষণে দুর্বল হয়ে পড়ার কারণে জীর্ন ভবনটি ধসে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷

ভবনটি ধসে পড়ার পর থেকেই শুরু হয় উদ্ধারকাজ৷ শুক্রবার মুম্বই পুলিশের এক মুখপাত্র বলেন, ‘‘উদ্ধারকর্মীরা বৃহস্পতিবার রাতেও বেশ কয়েকটি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে৷ সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৩৪-এ দাঁড়িয়েছে৷''

জানা গেছে, ভেন্ডি বাজারের সরু গলিময় এলাকার ওই ভবনটিতে নয়টি পরিবার বাস করতো৷ বাসিন্দাদের মধ্যে এ পর্যন্ত ১৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে৷

রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে ভবন ধসে পড়ার কারণ এবং ছয় বছর আগে খালি করার নোটিস দেয়া সত্ত্বেও ঝুঁকি নিয়ে কীভাবে মানুষ এতদিন সেখানে বাস করল, তা জানার জন্য তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে৷

গত দু' মাসে মুম্বইয়ে এটি তৃতীয় ভবন ধসের ঘটনা৷ গত জুলাই মাসেও ব্যস্ত নগরটিতে একটি পাঁচ তলা ভবন ধসে পড়েছিল৷ সেবার প্রাণ হারিয়েছিল ১৭ জন৷ তবে ভারতের এই বাণিজ্যিক নগরীতে সবচেয়ে ভয়াবহ ভবন ধসের ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৩ সালে৷ একটি আবাসিক এলাকার এক ভবন ধসে তখন মারা গিয়েছিল ৬০ জন৷

Infografik Flut Überschwemmung Asien ENG

প্রবল বর্ষণের কারণে ভারত, বাংলাদেশ এবং নেপালের বেশ কিছু অঞ্চল এ মুহূর্তে বন্যাদুর্গত৷ দেশ তিনটিতে এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে বন্যায় ১২ শ' মানুষ প্রাণ হারিয়েছে৷ এছাড়া পাকিস্তানের করাচিতেও বন্যাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে অন্তত আট জনের৷

এসিবি/ডিজি (ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য