ভয়াবহ সেই সুনামির ১৫ বছর আজ
২৬ ডিসেম্বর ২০১৯২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর দক্ষিণ সুমাত্রায় ৯.১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত করলে ভয়াবহ এক সুনামির সূত্রপাত হয়৷ প্রায় ৩০ মিটার (১০০ ফুট) উচ্চতার ঢেউগুলো আছড়ে পড়ে ভারত মহাসাগরের বিভিন্ন উপকূলে৷ বক্সিং ডেতে হওয়া সেই সুনামিতে এশিয়ার এসব দেশের প্রায় দুই লাখ ৩০ হাজার মানুষ মারা যান৷
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ইন্দোনেশিয়ায় অনেক মানুষের খোঁজই মেলেনি আর৷ শুধু দেশটির আচেহ রাজ্যেই মারা গেছেন এক লাখ ২৫ হাজার মানুষ৷ সুনামির বিরাট সব ঢেউ আছড়ে পড়ে গ্রাম কি গ্রাম ভেসে গিয়েছিল এ রাজ্যে৷
বান্ডা আচেহ শহরে সুনামির স্মরণে তৈরি করা হয় জাদুঘর৷ সেখানে হাজারো মানুষ বৃহস্পতিবার জড়ো হয়ে নিহতদের স্মরণ করেছেন৷
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিরোন সমুদ্রসৈকতে জেলেরা জড়ো হয়ে প্রার্থনা করেছেন৷ নিহতদের সম্মানে এদিন সমুদ্রে মাছ ধরতে যাবেন না বলে জানিয়েছেন৷
সুনামিতে থাইল্যান্ডে মারা গেছেন পাঁচ হাজার তিনশ' মানুষ৷ এদের মধ্যে আন্দামান সাগরের দ্বীপগুলোতে বেড়াতে আসা পর্যটকেরাও ছিলেন৷ সুনামির পর ফুকেটসহ বিভিন্ন জায়গায় সুনামি ‘মেমোরিয়াল ওয়াল' তৈরি করা হয়৷ বৃহস্পতিবার এসব দেয়ালের সামনে ও বিচগুলোতে মোমবাতি জ্বালিয়ে নিহতদের স্মরণ করা হয়৷
সুনামিতে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভজিরালংকর্ণের ভাগ্নে ২১ বছর বয়সে ভূমি জেনসেন মারা যান৷ তাঁকে বিশেষভাবে স্মরণ করা হয়৷
ভারতে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যান৷ সেখানেও তাদের স্মরণে কর্মসূচি পালন করা হয়৷
শ্রীলঙ্কাতেও দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের শহর গলে একটি স্মৃতিস্তম্ভে নিহতদের স্মরণে জড়ো হন অনেকে৷ দেশটির সবগুলো মন্ত্রণালয় দুই মিনিট নিরবতা পালন করে৷ এই দ্বীপরাষ্ট্রে ৩৫ হাজার মানুষ মারা যান৷
হিরোশিমাতে ফেলা পারমাণবিক বোমার চেয়ে ২৩ হাজার গুন বেশি শক্তি ছিল ২০০৪ সালে হওয়া এই ভূমিকম্প ও সুনামির৷
জেডএ/কেএম (এএফপি, রয়টার্স)