1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইন্দোনেশিয়ায় সুনামিতে নিখোঁজদের খোঁজে ড্রোন

২৬ ডিসেম্বর ২০১৮

ইন্দোনেশিয়ার জাভা ও সুমাত্রা দ্বীপে গত ২১ ডিসেম্বর আঘাত হানা সুনামিতে  নিখোঁজদের খোজে ড্রোন নামানো হয়েছে৷ দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র সুতোপো পারো এ তথ্য জানান৷

https://p.dw.com/p/3AeMo
Indonesien Tsunami | Zerstörung in Pandeglang
ছবি: Reuters/Antara Foto/A. Fathulrahman

তিনি বলেন, শনিবারের এই সুনামিতে  ৪২৯ জন নিহত ও এক হাজার ৪০০ জন আহত হয়েছে৷ এখন পর্যন্ত ১২৮ জন নিখোঁজ রয়েছে৷ নিখোঁজদের মধ্যে কেউ জীবিত রয়েছেন কিনা সেটা খতিয়ে দেখতেই ড্রোন নামানো হয়েছে৷

জাতীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার কমিটির মুখপাত্র ইউসুফ লতিফ বলেন, ‘‘আমাদের ধারণার বাইরে অসংখ্য স্থান প্লাবিত হয়েছে৷ ফলে আমাদের উদ্ধার কার্যক্রম আরো পরিবর্ধিত করতে হচ্ছে৷ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে মাটি খুঁড়ে অনেক মৃতদেহ বের করা হয়েছে৷ অনেক দুর্গমস্থানে এখন আমাদের উদ্ধারকর্মী পৌঁছে গেছে৷ সেসব স্থান থেকে দুর্গতদের উদ্ধারও করা হয়েছে৷ তবে অতিরিক্ত বৃ্ষ্টি এই উদ্ধার কাজ ব্যহত করছেন বলে জানিয়েছেন ইউসুফ৷ 

তিনি আরো জানান, সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাগুলোর কয়েক হাজার অধিবাসীকে মসজিদ ও স্কুলের মতো আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে নেওয়া হয়েছে৷

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র সুতোপো পারো বলেন, এই সুনামিতে আগাম সর্তকতা দেওয়া সম্ভব হয়নি, তাই আরেকবার হবে কিনা এ বিষয়েও আমরা অনিশ্চিত৷ ফলে স্থানীয় অধিবাসীদেরকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রেই থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷

আবহাওয়া এবং ভূতত্ত্ব বিষয়ক সংস্থা বিএমকেজি-এর প্রধান দ্বিকোরিতা কর্ণবতী বলেন, ‘‘বুধবার সকাল থেকেই প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে৷ একইসঙ্গে সমুদ্রে তীব্র জোয়ার দেখা যাচ্ছে৷ আবহাওয়া পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। এমন দুর্যোগপ্রবণ আবহাওয়ায় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে৷  সুনামি আক্রান্ত এলাকা এখনো মারাত্মক সুনামি ঝুঁকিতে রয়েছে৷'' অগ্নুৎপাতের ফলে আনাক ক্রাকাতোয়ার  দ্বীপের ৬৪ হেক্টর ভূমি সমুদ্রে ধসে পড়েছে বলেও জানান দ্বিকোরিতা৷  

এদিকে বড়দিনের উদযাপন স্থগিত রেখে শোক প্রার্থনা করা হয়েছে ইন্দোনেশিয়াতে৷ সারা দেশের গির্জাগুলোতে কোনো আনন্দ সংগীত বা উৎসব প্রার্থনা করা হয়নি বলে জানান রাহমাত পেনেটে কোস্টাল গির্জার যাজক মারকাজ তায়েকজ৷

উল্লেখ্য,  গত শনিবার রাতে আনাক ক্রাকাতাও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে হঠাৎ করেই এই সুনামির সৃষ্টি হয়৷ কোনো ধরনের ভূমিকম্প হয়নি৷ কোনো ধরনের সতর্কতা সংকেত দেয়ার সুযোগ না দিয়েই ৯ ফুট উচ্চতার ঢেউ আঘাত হানে সুমাত্রা ও জাভার সৈকত এলাকায়৷

আনাক ক্রাকাতোয়া দ্বীপটি ১৮৮৩ সালে ক্রাকাতোয়া অগ্ন্যুৎপাতের অর্ধশতক পর জেগে ওঠে৷ সেই অগ্ন্যুৎপাতের সময় সৃষ্ট সুনামিতে ছত্রিশ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণহারান৷ শনিবারের সুনামির কয়েকদিন আগে থেকেই আগ্নেয়গিরিটি থেকে আকাশের দিকে ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে৷

এর আগে ২০০৪ সালে ইন্দোনেশিয়াসহ ১৪ দেশে সুনামির আঘাতে দুই লাখ ৩০ হাজার মানুষ প্রাণ হারান৷ তাদের মধ্যে এক লাখ ২০ হাজার শুধু ইন্দোনেশীয় ছিল৷

এফএ/এসিবি (রয়টার্স, এপি)