1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিরোধী ঐক্যে ফাটল আরো বাড়ল

গৌতম হোড় নতুন দিল্লি
১৩ জানুয়ারি ২০২০

সোনিয়া গান্ধীর ডাকা বৈঠকে যোগ দিলেন কুড়িটি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা৷ তা সত্ত্বেও বিরোধী অনৈক্য়ের ছবিটা ঢাকা গেল না৷ কারণ, মমতা, মায়াবতী, কেজরিওয়াল, চন্দ্রবাবু নাইডু, উদ্ধব ঠাকরে, স্ট্যালিন বৈঠকে ছিলেন না৷

https://p.dw.com/p/3W7gv
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Qadri

সিএএ, এনআরসি, এনপিআর নিয়ে প্রতিবাদের পথ ঠিক করতে বৈঠক, তাও সেখানে যোগ দিল না সাতটি প্রধান বিরোধী দল৷ এমন নয় যে তারা প্রতিবাদে ইচ্ছুক নয়৷ একমাত্র শিবসেনার এ নিয়ে আপত্তি থাকতে পারে৷ কিন্তু মমতা, মায়াবতী, চন্দ্রবাবু, অখিলেশ, কেজরিওয়ালরা এলেন না কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে যোগ দেবেন না বলে, কংগ্রেসের নেতৃত্বে কোনও আন্দোলনে সামিল হবেন না বলে৷ ডিএমকে আসেনি তামিলনাড়ুর কংগ্রেস নেতাদের আচরণে বিরক্ত হয়ে৷ ফলে রেকর্ড কুড়িটি বিরোধী দল নিয়ে সোনিয়া গান্ধী বৈঠক করলেন ঠিকই, কিন্তু তাও সব কিছু ছাপিয়ে বিরোধী অনৈক্যের ছবিই প্রধান হয়ে উঠল৷ ফলে সংসদের আসন্ন বাজেট অধিবেশনে বিরোধীরা একজোট হয়ে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে লড়তে পারবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রইলো৷

এর আগে কুড়িটি দলকে সঙ্গে নিয়ে সোনিয়ারা বৈঠক কমই করেছেন। কিন্তু কুড়িটি দলের মধ্য়ে অনেকগুলোই ছোট দল৷ ফরোয়ার্ড ব্লক, আরএসপি, কেরল কংগ্রেস মণি, ভিসিকে, স্বাভিমান পক্ষ, আরএলএসপি, হিন্দুস্তান আওয়াম পার্টি, শরদ যাদবের এলজেডির মতো দলগুলি, যাঁদের লোকসভায় একজনও প্রতিনিধি নেই৷ প্রবীণ সাংবাদিক শুবাশিস মৈত্র ডয়চে বেলেকে জানিয়েছেন, ''এনআরসি, সিএএ বিরোধী আন্দোলন প্রধাণত চালাচ্ছে ছাত্ররা৷ জরুরি অবস্থার সময় জয়প্রকাশ নারায়ণ ছাত্রদের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন৷ এখন সেরকম কেউ নেই৷ সবথেকে বড় দল হিসাবে কংগ্রেস একমাত্র নেতৃত্ব দিতে পারে বা এই আন্দোলন তার নিজের পথে চলবে৷ বাংলার বাইরে কোনও রাজ্যে তৃণমূলের প্রভাব নেই৷ বাংলায় মমতাকে সিএএ বিরোধী আন্দোলন করতে হবে৷ তাই তাঁর না যাওয়াটা খুব বড় ক্ষতি এমন নয়৷''

বরং কংগ্রেসের নিজের শরিক ডিএমকে, শিবসেনা, চন্দ্রবাবুর দলের না আসাটা অনেক বেশি চিন্তার৷ সোনিয়া অবশ্য বৈঠকে বলেছেন, সমমনস্ক সব দলগুলির উচিত একযোগে সরকারের বিরোধ করা এবং সরকার যে পথে এগোচ্ছে তা থেকে সরে আসতে মোদী-শাহকে বাধ্য করা৷ ডয়চে ভেলেকে বিশ্লেষক সুগত হাজরা বলেছেন, ''চার, পাঁচটি প্রধান বিরোধীদল যদি কংগ্রেসের সঙ্গে আসতে না চায়, তা হলে চাপে সোনিয়াই পড়বেন, মোদী নয়৷ এই অবস্থায় সনিয়া বাকিদের নিয়ে বিরোধটা কতটা তীব্র করতে পারবেন তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে৷''

কংগ্রেস সহ বিরোধীদের সামনে একটা রাজনৈতিক সুযোগ এসে গিয়েছে৷ ছাত্ররা সিএএ, এনআরসি, এনপিআর বিরোধী আন্দোলনটা একটা জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে৷ মহিলারা দিল্লি, কলকাতা, উত্তর প্রদেশে দিনের পর দিন সারারাত ধরে অবস্থান বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন৷ এই অবস্থা থেকে সোনিয়ারা তা রাজনৈতিক আন্দোলনে পরিণত করতে পারবেন কি না, সেটাই তাঁদের সামনে চ্যালেঞ্জ৷ নিজেদের এই অনৈক্য়ের মধ্য়ে চ্য়ালেঞ্জটা কতটা সুচারুভাবে নিতে পারবেন বিরোধীরা, সেটাই বড় প্রশ্ন৷