1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মোদী-শাহের বিরুদ্ধে এক হচ্ছে বিরোধীরা

গৌতম হোড় নতুন দিল্লি
৭ জানুয়ারি ২০২০

সিএএ-র বিরুদ্ধে এ বার পরিকল্পনামাফিক ও সঙ্ঘবদ্ধভাবে আন্দোলনে নামতে চাইছে বিরোধী দলগুলি৷ দিল্লিতে বৈঠক করে এ বার সেই কৌশল ঠিক হবে৷ সেই বৈঠকে যোগ দেবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়ও৷

https://p.dw.com/p/3VpmY
ছবি: Ians

মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্ররা পথে নেমেছে অনেক দিন হল৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল, ডিএমকে, কংগ্রেসও আলাদাভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে৷ কিন্তু ছাত্রদের পাশাপাশি দেশজুড়ে সঙ্ঘবদ্ধভাবে ও পরিকল্পনামাফিক আন্দোলনে নামেনি বিরোধীরা৷ তার ওপর জানুয়ারির শেষে সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে৷ সেখানেও সিএএ নিয়ে বিরোধ কীভাবে করা হবে সেই প্রশ্ন উঠেছে৷ এ বার সেই খামতি দূর করতে সামনাসামনি বসে আলোচনা করে সিএএ নিয়ে প্রতিবাদ করতে চাইছেন সনিয়া গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রা৷ নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম সংসদের বাইরে এক হয়ে আন্দোলনের কৌশল নিতে চলেছেন তাঁরা৷ এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে, আগামী সোমবার সংসদ ভবনের অ্যানেক্সিতে এই বৈঠক হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার একদিন আগে অর্থাৎ রবিবারই দিল্লি পৌঁছে যাচ্ছেন৷

কোনও সন্দেহ নেই, এই বৈঠকে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে সনিয়া গান্ধী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে সিএএ নিয়ে বিরোধীদের আন্দোলন কী ধরনের হওয়া উচিত? প্রাক্তন বিদেশ ও অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''বিরোধীদের উচিত, দেশের সব জায়গায় ছাত্রদের পাশে থাকা৷ তাঁদের আন্দোলনকে সমর্থন করা৷ বিরোধীরা বরং বেশি করে সংসদে বিরোধিতা করুন৷ একযোগে প্রতিবাদ করুন৷ বাজেট অধিবেশনে এই কাজটা তাঁরা যত ভালোভাবে করতে পারবেন, তত বেশি সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারবেন৷''

প্রবীণ সংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক শুভাশিস মৈত্র অবশ্য মনে করছেন, বিরোধীরা ছাত্র-আন্দোলনের ফায়দা তুলতে চইবেন, সেটা স্বাভাবিক৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেছেন, ''এ বার ছাত্রদের আন্দোলনের মধ্যেও একটা বৈশিষ্ট্য আছে৷ এখানে সে অর্থে কোনও নেতা নেই৷ অনেক ছাত্রছাত্রী আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন, যাঁরা সচরাচর কোনও প্রতিবাদ, বিক্ষোভে থাকেন না৷ সংবিধান হাতে নিয়ে বা সংবিধান রক্ষার কথা বলে তাঁরা আন্দোলনে নামছেন৷ সংবিধানকেই নেতা বলা যায়৷ এঁদের বলা যেতে পারে, বিজেপি বা সঙ্ঘ পরিবারের জাতীয়তাবাদের বাইরে থাকা জাতীয়তাবাদী৷ ফলে তাঁদের আন্দোলন কোথায় দাঁড়ায়, তা দেখার বিষয়৷''

এই পরিস্থিতিতে বিরোধীরা কী করবেন, সেটাও দেখার৷ কারণ, কিছুদিন আগে সিএএ পাস করাবার সময় দেখা গিয়েছে, বেশ কিছু বিরোধী দলের অনেক সদস্য গরহাজির ছিলেন৷ তারপর তাঁদের নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে৷ সেই সব সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে সিএএ নিয়ে মোদীকে চাপে ফেলা আপাতত সনিয়া গান্ধীদের কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ৷