‘বাংলাদেশের বন্ধু’ সায়মন ড্রিং আর নেই
২০ জুলাই ২০২১শুক্রবার রুমানিয়ার একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের সময় সায়মন ড্রিংয়ের মৃত্যু হয় বলে তার আত্মীয় ক্রিস বার্লাস ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন৷
রয়টার্স, টেলিগ্রাফ ও বিবিসির হয়ে সায়মন ড্রিং দীর্ঘদিন কাজ করা ড্রিং-এর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর৷
বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি টেরেস্ট্রিয়াল টেলিভিশন স্টেশন হিসেবে একুশে টেলিভিশনের যাত্রা শুরুতে তার ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ৷ বলা হয়ে থাকে, তার হাত ধরেই টেলিভিশন সাংবাদিকতা নতুন মাত্রা পেয়েছিল বাংলাদেশে৷
১৯৭১ সালের ২৫মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গণহত্যা শুরু করার আগে ঢাকায় অবস্থানরত প্রায় দুইশ বিদেশি সাংবাদিককে তখনকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আটকে ফেলে৷ গণহত্যার কোনো খবর যাতে সংগ্রহ এবং প্রচার করতে করতে না পারেন সেজন্য হোটেল থেকে সরাসরি বিমানে তুলে দিয়ে তাদের ঢাকা ছাড়তে বাধ্য করা হয়৷ তাদের মধ্যে ছিলেন ব্রিটিশ সাংবাদিক সায়মন ড্রিং৷ তবে পাকিস্তানের সামরিক আইন না মেনে তিনি হোটেলে লুকিয়ে পড়েন৷ শ্বাসরুদ্ধকর ৩২ ঘণ্টা সময় কাটে হোটেলের লবি, ছাদ, বার, কিচেনের মতো জায়গায়৷
পরে তিনি ঘুরে ঘুরে প্রত্যক্ষ করেন গণহত্যার বাস্তব চিত্র৷
নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রথম খবর প্রকাশ করেন৷ ১৯৭১ সালের ৩০ মার্চ ডেইলি টেলিগ্রাফে প্রকাশিত হয়েছিল সেই খবর৷
২০১২ সালে সোনারগাঁও হোটেলে ‘স্মৃতি ৭১’ অনুষ্ঠানে একাত্তরের সেই গল্প শুনিয়েছিলেন সায়মন ড্রিং৷ ব্রিটিশ সাংবাদিক মার্ক টালিও ছিলেন সেই অনুষ্ঠানে৷ তাদের দুজনকেই মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননায় ভূষিত করেছে বাংলাদেশ সরকার৷
এসিবি/এডিকে (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)