পাঁচ সন্তান হত্যার দায়ে জার্মান মায়ের যাবজ্জীবন

বিচারক এই হত্যাকাণ্ডকে ‘ট্র্যাজেডি' বলে বর্ণনা করেছেন৷ অপরাধের ধরন বিবেচনায় আদালত বলেছে, ১৫ বছর জেল খাটার পর ঐ নারী প্যারোল আবেদন করতে পারবেন না৷

জার্মানির জলিঙ্গেন শহরে বাস করা ২৮ বছর বয়সি ঐ নারীর ছয় সন্তান ছিল৷ স্বামীর সঙ্গে নতুন এক পার্টনারের ছবি দেখার পর তিনি স্বামীকে মোবাইলে বার্তা পাঠিয়ে জানান যে, তিনি আর তার সন্তানদের কখনো দেখতে পারবেন না৷ এরপর পাঁচ সন্তানকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বাথটাবে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়৷ সন্তানদের বয়স আট মাস থেকে আট বছর পর্যন্ত ছিল৷ সবচেয়ে বড় ১১ বছরের সন্তান ঐ সময় বাড়িতে না থাকায় বেঁচে যায়৷

সন্তানদের হত্যার পর চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন ঐ মা৷

বিচার চলাকালীন আদালতে একেবারে চুপ ছিলেন তিনি৷ পর্যাপ্ত প্রমাণ না থাকায় তার মুক্তির দাবি জানিয়েছিলেন তার আইনজীবী৷ সেটা সম্ভব না হলে তাকে আট বছরের কারাদণ্ড দেয়া ও মানসিক চিকিৎসার আবেদন করা হয়েছিল৷   

তবে আদালতের নিয়োগ দেয়া এক বিশেষজ্ঞ পরীক্ষা করে জানিয়েছেন, ঐ নারীর কোনো মারাত্মক মানসিক রোগ নেই৷ তিনি নার্সিসিস্টিক ব্যক্তিত্বের অধিকারী বলে বর্ণনা করা হয়৷

জেডএইচ/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ)