1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাঁচ সন্তান হত্যায় অভিযুক্ত জার্মান মায়ের বিচার শুরু

১৫ জুন ২০২১

নিজের ছয় সন্তানের পাঁচজনকেই বাথটাবে ডুবিয়ে মারার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে৷ তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আদালতে মুখ খুলবেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি৷ দোষী প্রমাণিত হলে আজীবন কারাবাসের শাস্তি হবে জার্মান এই নারীর৷

https://p.dw.com/p/3uwoF
Fünf tote Kinder in Solingen gefunden
ছবি: Roberto Pfeil/dpa/picture alliance

২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বরের ঘটনা৷ জার্মানির জলিঙ্গেন শহরের এক বাড়িতে পাঁচটি শিশুকে বিছানায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়৷ তাদের মা-কে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ড্যুসেলডর্ফ রেল স্টেশনের রেললাইন থেকে৷ ধারণা করা হয়, তিনি ট্রেনের নীচে ঝাঁপিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিলেন৷ ওই নারীর পরিবারের পক্ষ থেকে তখন দাবি করা হয় তিনি তার ছয় সন্তানের মধ্যে পাঁচ সন্তানকে হত্যা করে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন৷ ১১ বছর বয়সি একটি সন্তান স্কুলে থাকায় বেঁচে যায়৷ নিহত পাঁচ শিশুর বয়স ১৬ মাস থেকে সাড়ে আট বছরের মধ্যে৷

ট্রেনের নীচে ঝাঁপিয়ে গুরুতর আহত হলেও অভিযুক্ত নারী এখন শারীরিকভাবে সুস্থ৷

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলে তাকে নর্থ রাইন-ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের কোলন শহরের জেলে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সোমবার ভ্যুপার্টাল জেলা আদালতে শুরু হয়েছে তার বিরুদ্ধে খুনের মামলার শুনানি৷

তবে শুনানির আগেই ২৮ বছর বয়সি নারী জানান, তার পাঁচ শিশুর হত্যাকাণ্ড এবং পারিবারিক বিষয়ে আদালতে কোনো কথা বলবেন না৷ নিজেকে নির্দোষ দাবি করে প্রকৃত দোষীর শাস্তিও দাবি করেছেন তিনি৷

তার দাবি, ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মুখোশধারী এক ব্যক্তি তার ঘরে প্রবেশ করে পাঁচ সন্তানকে হত্যা করে৷

কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের দাবি, ওই নারী সেদিন তার পাঁচ সন্তানের সকালের নাশতার সঙ্গে এমন ট্যাবলেট মিশিয়ে দিয়েছিলেন যা খেয়ে তারা ঘুমিয়ে পড়ে৷ তারপর ঘুমন্ত অবস্থায় তাদের বাথটাবে ডুবিয়ে মেরে তোয়ালে জড়িয়ে এনে যার যার বিছানায় শুইয়ে দেন৷

আদালত ইতিমধ্যে অভিযুক্ত নারীর মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছে৷ বিশেষজ্ঞদের পরীক্ষায় মানসিক রোগের কোনো লক্ষণ ধরা পড়েনি৷ তবে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা বিশেষজ্ঞদের প্রতিবেদনকে ‘ত্রুটিপূর্ণ' হিসেবে আখ্যায়িত করে নতুন পরীক্ষার দাবি জানিয়েছেন৷ তাদের মতে,

আদালতের নিয়োগ করা মনস্তাত্বিক অভিযুক্ত নারীকে গোপনীয়তা রক্ষার অঙ্গীকার করলেও পরে তা রক্ষা করেননি৷ এছাড়া অভিযুক্ত নারী দাবি করেছিলেন, তার বাবা তার ওপর যৌন নিপীড়ন চালাতেন৷ কিন্তু মনস্তাত্বিকরা এ বিষয়ে পাঁচ সন্তানকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত নারীর বাবার সঙ্গে কথা বলেননি বলেও কথিত প্রতিবেদনকে বিবাদীপক্ষের আইনজীবীরা গ্রহণযোগ্য মনে করছেন না৷

বৃহস্পতিবার আবার ভ্যুপার্টালের জেলা আদালতে মামলার শুনানি হবে৷ মোট ১১ দিনের শুনানি আগামী আগস্টের মাঝামাঝি নাগাদ শেষ হওয়ার কথা৷ দোষী সাব্যস্ত হলে স্বামী পরিত্যক্তা ২৮ বছর বয়সি নারীর আজীবন কারাবাসের সাজা হতে পারে৷

এসিবি/কেএম (এএফি, ডিপিএ)