1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নারী সাংসদদের আক্রমণ করে ট্রাম্পের টুইট

১৫ জুলাই ২০১৯

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প রোববার ডেমোক্রেট দলের প্রগতিশীল নারী সাংসদদের আক্রমণ করে টুইট করেছেন৷ সাংসদরা যে দেশ থেকে এসেছেন সেখানে তাঁদের যেতে বলেছেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/3M6kI
USA Abgeordnete Alexandria Ocasio-Cortez, Ayanna Pressley, Rashida Tlaib
ছবি: picture-alliance/AP Photo/J:S: Applewhite

ট্রাম্প তাঁর টুইটে কারও নাম উল্লেখ করেননি৷ তবে টুইটের ভাষা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, মিনেসোটার কংগ্রেসওম্যান ইলহান ওমর এবং মিশিগানের রাশিদা তালিবকে লক্ষ্য করে টুইট করেছেন ট্রাম্প৷ কারণ টুইটে ট্রাম্প ‘‘তাঁরা ইসরায়েলতে মনেপ্রাণে ঘৃণা করেন' বলে উল্লেখ করেছেন৷ সম্প্রতি ওমর ও তালিব ইসরায়েল নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন৷

ওমর শিশু বয়সে যুদ্ধবিদ্ধস্ত সোমালিয়া থেকে পালিয়ে শরণার্থী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন৷ আর ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত নারী তালিবের জন্ম ও বেড়ে ওঠা যুক্তরাষ্ট্রে৷

এই দুজন কংগ্রেসওম্যান ছাড়াও নিউইয়র্কের আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজ এবং ম্যাসাচুসেটসের আয়ানা প্রেসলিও আক্রমণের শিকার বলে ধারনা করা হচ্ছে৷

ট্রাম্প বলেন, এই চার সাংসদ এমন কয়েকটি দেশ থেকে এসেছেন যেখানকার সরকার সম্পূর্ণ দুর্নীতিবাজ ও অদক্ষ৷ ‘‘এসব দেশ থেকে আসা ব্যক্তিরাই এখন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও মহান দেশের নাগরিক ও সরকারকে দেশ পরিচালনার উপায় বলে দিচ্ছে, যা দেখে মজাই লাগছ,'' বলে তিনি৷ এই সাংসদদের তিনি ঐসব দেশে ফিরে গিয়ে তাদের সমস্যা সমাধান করার পরামর্শ দিয়েছেন এবং ফিরে এসে কীভাবে তা করলেন, তা জানাতে বলেছেন৷

ন্যান্সি পেলোসি, ব্যার্নি স্যান্ডার্সসহ ডেমোক্রেট দলের কয়েকজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ও অভিজ্ঞ আইনপ্রণেতারা ট্রাম্পের বক্তব্যকে বর্ণবাদী ও জেনোফোবিক বলে উল্লেখ করেছেন৷

ট্রাম্পের বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন নিউইয়র্কের কংগ্রেসওম্যান ওকাসিও-কর্টেজ৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘আপনি (ট্রাম্প) ক্ষুব্ধ কারণ আপনি এমন আমাদেরসহ অ্যামেরিকার কথা কল্পনাও করতে পারেননা৷''

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে ট্রাম্পের বক্তব্য ‘একেবারে অগ্রহণযোগ্য' বলে মন্তব্য করেছেন৷

সোমবার আবারও ঐ ডেমোক্রেট সাংসদের আক্রমণ করে টুইট করেন ট্রাম্প৷ এবার তিনি বলেন, ‘‘মৌলবাদী বামপন্থি কংগ্রেসওম্যানরা কবে ইসরায়েল, প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ও আমাদের দেশ সম্পর্কে ফাউল ভাষা ব্যবহারের জন্য ক্ষমা চাইবেন৷ অনেক মানুষ তাঁদের কাজের জন্য ক্ষুব্ধ৷''

জেডএইচ/কেএম (এএফপি)