1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিকে আক্রমণ করে ট্রাম্পের টুইট

৩১ মে ২০১৭

জার্মানির সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক বাণিজ্য ঘাটতি, এছাড়া ন্যাটো ও সামরিক খাতে জার্মানির অপর্যাপ্ত ব্যয়ের সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প৷ তবে ওয়াশিংটন থেকে অন্য সুরও শোনা যাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/2dt3w
জি সেভেন সম্মেলনে ট্রাম্প ও ম্যার্কেল
ছবি: Getty Images/AFP/M. Medina

‘‘আমাদের জার্মানির সঙ্গে ব্যাপক বাণিজ্যিক ঘাটতি আছে; এছাড়া ওদের ন্যাটো ও সামরিক খাতে যা দেওয়ার কথা, তার থেকে ওরা অনেক কম দেয়,’’ টুইট করেছেন ট্রাম্প৷ এটা ‘‘যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে খুবই খারাপ৷ এই পরিস্থিতি বদলাবে৷’’

জি-সেভেন বৈঠকের পর থেকেই ইউরোপীয় ও মার্কিন মিডিয়া আন্তঃঅতলান্তিক মনকষাকষির লক্ষণ দেখছে৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্ক ব্যক্তিগত পর্যায়ে ঠিকমতো গড়ে উঠতে পারেনি৷ অপরদিকে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাটো/ইউরোপীয় সহযোগীদের তাদের বকেয়া অনুদান বা বিনিয়োগ সম্পর্কে যেভাবে সচেতন করে দিয়েছেন – ন্যাটো তথা ইউরোপের প্রতিরক্ষার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ অঙ্গীকারের পুনরুল্লেখ না করে – তার পরিপ্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ পর্যায়ের ইউরোপীয় নেতৃবর্গের প্রতিক্রিয়া অনুরূপ দ্ব্যর্থহীন৷

ফরাসি প্রেসিডেন্ট হিসেবে এমানুয়েল মাক্রোঁর নির্বাচন ম্যার্কেলের অবস্থান স্বভাবতই শক্ত করেছে৷ ম্যার্কেল এখন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইউরোপকে একতাবদ্ধ করার চেষ্টা করছেন বলে একাধিক পর্যবেক্ষক মন্তব্য করেছেন৷ ম্যার্কেল স্বয়ং প্রথমে বাভেরিয়ায় সিএসইউ দলের সম্মেলনে জার্মান ভোটারদের সাবধান করে দেন যে, যে কালে ইউরোপ ওয়াশিংটন ও লন্ডনের উপর নির্ভর করতে পারত, সেই সময় ‘ফুরিয়ে আসতে চলেছে’৷ মঙ্গলবার ম্যার্কেলকে বার্লিনে মন্তব্য করতে শোনা যায় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ‘অসাধারণ গুরুত্বসম্পন্ন’ হলেও, সাম্প্রতিক মতপার্থক্যের অর্থ, ‘‘ইউরোপে আমাদের নিজেদের ভাগ্য নিজের হাতে তুলে নিতে হবে’’৷ এ সময় আন্তর্জাতিক সম্পর্কে ইউরোপকে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে বলেও ঘোষণা করেন ম্যার্কেল৷

অন্য সুর?

মঙ্গলবারেই হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র শন স্পাইসারকে বলতে শোনা যায়, ‘‘প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প) ম্যার্কেলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ককে ‘অনেকটা অবিশ্বাস্য’ (রকম ভালো) বলে বর্ণনা করবেন’’৷ ‘‘ওঁদের দু’জনের মধ্যে বোঝাপড়া খুব ভালো৷ (ট্রাম্পের ম্যার্কেলের প্রতি) গভীর শ্রদ্ধা আছে,’’ যোগ করেন স্পাইসার৷

বকেয়া অনুদান বা প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় সম্পর্কে ট্রাম্প তাঁর ন্যাটো সহযোগীদের যা বলেছেন, স্পাইসার তাকে ‘দায়িত্ব ভাগাভাগি’ বলে অভিহিত করেন এবং বলেন, তা ন্যাটো ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে খুবই ইতিবাচক হবে বলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিশ্বাস করেন৷

জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হেলি এমএসএনবিসি টেলিভিশন সংস্থার সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘জার্মানি কালে দেখবে যে, আমাদের মিত্রদের আমাদের প্রতি সমর্থন আছে৷’’

টিটিপ চুক্তি নিয়ে আবার আলোচনা?

মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী উইলবার রস মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বলেন যে, ট্রান্সঅ্যাটলান্টিক ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পার্টনারশিপ (আন্তঃঅতলান্তিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশিদারি) বা টিটিপ চুক্তি নিয়ে নতুন করে আলাপ-আলোচনা শুরু করার ব্যাপারে ওয়াশিংটন মানসিকভাবে প্রস্তুত৷

‘‘আমরা যে টিপিপি (ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ অর্থাৎ প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলবর্তী দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি) থেকে পশ্চাদপসারণ করলেও টিটিপি থেকে পশ্চাদপসারণ করিনি,’’ বলেন রস৷

এসি/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)