1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্প জমানায় আবার ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি?

২৩ আগস্ট ২০১৮

আত্মপক্ষ সমর্থনে সরব হয়ে উঠলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রবল চাপের মুখে রয়েছেন৷ আপাতত আইনি পদক্ষেপের আশঙ্কা না থাকলেও রাজনৈতিক ক্ষতির আশঙ্কা বেড়ে চলেছে৷

https://p.dw.com/p/33c9Z
ছবি: Reuters/L. Millis

মঙ্গলবার প্রাক্তন আইনজীবী মাইকেল কোয়েন আদালতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ আনা সত্ত্বেও হোয়াইট হাউস স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প কোনো অপরাধ করেননি৷

ট্রাম্প এর আগেও বহুবার দাবি করেছেন যে, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে তিনি অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ করা দুই নারীর মুখ বন্ধ করতে প্রচারের তহবিল থেকে কোনো অর্থ দেননি৷ ব্যক্তিগত তহবিল থেকেই তিনি নাকি সেই অর্থ হস্তান্তর করেছিলেন৷ অপরাধ প্রমাণিত হলেও প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া কঠিন হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন৷

ট্রাম্প নিজে আদালতে কোয়েনের বক্তব্যের ফলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন৷ এক টুইট বার্তায় তিনি দাবি করেন যে, নির্বাচনি প্রচারের অর্থায়নের ক্ষেত্রে কোয়েন নিয়ম লঙ্ঘনের যে অভিযোগ আদালতে মেনে নিয়েছেন, তা মোটেই কোনো অপরাধ নয়৷ ভালো আইনজীবীর প্রয়োজন হলে কোয়েনের কাছে না যাবার পরামর্শ দেন তিনি৷

আরেক টুইট বার্তায় ট্রাম্প তাঁর প্রচার টিমের প্রাক্তন ম্যানেজার পল ম্যানাফোর্টের প্রশংসা করেন৷ উল্লেখ্য, মঙ্গলবার আরেক আদালতে প্রতারণার একাধিক অভিযোগে ম্যানাফোর্টকে অপরাধী সাব্যস্ত করা হয়েছে৷ ফেডারেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা না করায় ট্রাম্প তাঁকে ‘ব্রেভ ম্যান' বা ‘সাহসী পুরুষ' হিসেবে বাহবা দিয়েছেন৷ ফক্স নিউজ নেটওয়ার্কের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা প্রয়োগ করে ম্যানাফোর্টকে ক্ষমা করার ইঙ্গিত দিয়েছেন৷ ম্যানাফোর্ট নীরব থাকায় তিনিও এমন ক্ষমা প্রত্যাশা করছেন বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে৷

২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের তদন্তের ফলে ম্যানাফোর্ট ও কোয়েনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে এসেছে বলে গোটা বিষয়টি ভিন্ন মাত্রা নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে হোয়াইট হাউস৷ কোয়েনের আইনজীবী ল্যানি ডেভিস জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেলের কাছে এমন তথ্য রয়েছে, যা তদন্তকারী দলের প্রধান রবার্ট মালারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে৷ প্রেসিডেন্ট ক্ষমা করতে চাইলেও কোয়েন তা প্রত্যাখ্যান করবেন বলে ইঙ্গিত দেন ডেভিস৷

মার্কিন সংসদে বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক দল বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়ে উঠলেও রিপাবলিকান সদস্যরা উল্লেখযোগ্যভাবে নীরব রয়েছেন৷ বিরোধীরা বর্তমান ঘটনাবলীকে ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির সঙ্গে তুলনা করছেন, যার জের ধরে প্রেসিডেন্ট হিসেবে রিচার্ড নিক্সনকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল৷ আগামী নভেম্বর মাসে অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাচনের উপর এই ঘটনার প্রভাব নিয়েও জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে গেছে৷ এমনকি ট্রাম্পকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রসঙ্গ আবার আলোচিত হচ্ছে৷ তবে রবার্ট মালার শেষ পর্যন্ত কী করেন, তার উপর প্রেসিডেন্টের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ তদন্তে অগ্রগতি বা চূড়ান্ত রিপোর্ট সম্পর্কে মালার কোনো মন্তব্য না করায় অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)