1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ব্যবসা আর দেশ চালানো এক নয়'

৬ আগস্ট ২০১৮

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র পিপলস ডেইলি সরাসরি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-এর তীব্র সমালোচনা করেছে৷ কমিউনিস্ট পার্টির এই মুখপত্রের মতে, তাঁর আচরণের ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় বিশ্বাসযোগ্যতা বিপন্ন হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/32fDz
ছবি: picture alliance/AP Images/M. Rourke

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর ‘অ্যামেরিকা ফার্স্ট' নীতির আওতায় বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে তাঁর দেশের প্রতি যাবতীয় ‘অন্যায়' দূর করতে চান৷ তাঁর দাবি, এতকাল গোটা বিশ্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অন্যায় সুবিধা ভোগ করে এসেছে৷ এর ফলে মার্কিন শ্রমিক ও কোম্পানিগুলির ক্ষতি হয়েছে৷ তিনি সেই ‘বৈষম্য' দূর করতে একের পর এক শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছেন৷ একাধিক পণ্যের আমদানির উপর শুল্ক চাপিয়ে তিনি ইউরোপ, চীনসহ গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সহযোগীদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে চান৷ তারপর দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে অ্যামেরিকার জন্য সুবিধাজনক শর্তে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ঢেলে সাজাতে চান৷

সবকিছু অবশ্য ট্রাম্প প্রশাসনের পরিকল্পনা অনুযায়ী চলছে না৷ বিশেষ করে চীন তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে৷ অ্যামেরিকার বিরুদ্ধে পালটা শাস্তিমূলক পদক্ষেপের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মুক্ত বাণিজ্য কাঠামোর সুরক্ষায় সে দেশ নেতৃত্ব দিতে এগিয়ে এসেছে৷ শুধু জুলাই মাসেই অ্যামেরিকা ও চীন পরস্পরের উপর প্রায় ৩,৪০০ কোটি ডলার মূল্যের শাস্তিমূলক শুল্ক চাপিয়েছে৷ অদূর ভবিষ্যতে ওয়াশিংটন চীন থেকে আমদানির উপর নতুন করে আরও ১,৬০০ কোটি ডলারের শুল্ক চাপানোর ইঙ্গিত দিয়েছে৷ এমন বাণিজ্য যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সামগ্রিকভাবে বিশ্ব বাণিজ্যের উপর কুপ্রভাবের আশঙ্কাও বেড়ে চলেছে৷

এতকাল ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচনা করলেও সরাসরি ব্যক্তি হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে আক্রমণ করেনি চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম৷ এবার পিপলস ডেইলি সংবাদপত্রের বৈদেশিক সংস্করণের এক সংবাদভাষ্যে সেই অভূতপূর্ব কাণ্ড দেখা গেল৷ তাদের মতে, ‘স্ট্রিট ফাইটার' বা রাস্তার যোদ্ধার মতো ট্রাম্প ছলনার নাটক করে ভয়ভীতি দেখিয়ে কিছু সুবিধা আদায় করতে চাইছেন৷ কিন্তু বাকিরাও সেই নাটকের অংশ হবে, এমন সাধ মোটেই পূর্ণ হবে না বলে সতর্ক করে দিয়েছে কমিউনিস্ট পার্টির সংবাদপত্র৷ প্রেসিডেন্টকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে লেখা হয়েছে, যে ‘ব্যবসা আর দেশ চালানো এক নয়'৷ তাঁর এমন আচরণের কারণে রাষ্ট্র হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় বিশ্বাসযোগ্যতা বিপন্ন হচ্ছে বলেও সাবধান করে দেওয়া হয়েছে৷

ট্রাম্প নিজে অবশ্য এমন সমালোচনা সত্ত্বেও অবিচল রয়েছেন৷ বরং তাঁর কৌশলে প্রত্যাশার তুলনায় বেশি ফল পাওয়া যাচ্ছে বলে দাবি করছেন তিনি৷ আত্মবিশ্বাসে ভরপূর ট্রাম্প শনিবার এক টুইট বার্তায় চীনের পুঁজিবাজারে দরপতনের উল্লেখ করে এমন মন্তব্য করেন৷ তাঁর মতে, নতুন করে আলোচনার মাধ্যমে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করলে অ্যামেরিকার পুঁজিবাজার নাটকীভাবে চাঙ্গা হয়ে উঠবে৷

এসবি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান