চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: দুঃখপ্রকাশ করলো ফ্রান্স
২ জুন ২০২২গত শনিবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে লিভারপুল বনাম রিয়েল মাদ্রিদের খেলার আগে স্টেডিয়ামে ঢোকার সময় ছিল চরম অব্যবস্থা। এতদিন পর্যন্ত ফরাসি সরকারের দাবি ছিল, লিভারপুলের সমর্থকেরাই তাণ্ডব করেছে। তারা জাল টিকিট নিয়ে স্টেডিয়ামে ঢুকতে চেয়েছিল। অনেকে জোর করে স্টেডিয়ামে ঢুকতে চায়। কিন্তু লিভারপুলের সমর্থকদের অভিযোগ ছিল, তাদের কাছে বৈধ টিকিট ছিল। কিন্তু স্টেডিয়ামে ঢোকার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের জন্যই তারা ঢুকতে পারেননি।
ফরাসি সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাদের আরো ভালোভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা উচিত ছিল। কেউ হতাহত হননি, তবে ভবিষ্যতে আরো ভালোভাবে সবকিছু সামলাতে হবে।
মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিশৃঙ্খলার জন্য দুই হাজার ৭০০ জন স্টেডিয়ামে ঢুকতে পারেননি। তাদের অধিকাংশই লিভারপুল সমর্থক। তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ এবং তার সরকার ঘটনার জন্য ব্যথিত এবং যারা খেলা দেখতে পারলেন না, তাদের জন্য দুঃখিত।
সমর্থকদের অভিযোগ ছিল, যে পুলিশ অফিসাররা ম্যাচের আগে কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করেছিল এবং দর্শকদের স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেয়নি, ম্যাচের পর তাদের আর কোথাও দেখা যায়নি। অথচ, ম্যাচের পর সেন্ট ডেনিস অঞ্চলে তরুণদের দল চুরি ও সহিংসতা করেছে।
স্বচ্ছতা চান মাক্রোঁ
ফরাসি সরকার প্রথমে সব দায় সমর্থকদের উপর চাপিয়ে দিয়েছিল। তারপর তারা দুঃখপ্রকাশ করলো। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোমবার বলেছিলেন, পুলিশ এই খেলা নিয়ে কোনো প্রাণহানি চায়নি। তিনি দাবি করেছিলেন, জাল টিকিট ছিল সবচেয়ে বড় সমস্যা। লিভারপুলের অনুরোধে ইলেকট্রনিক টিকিটের জায়গায় কাগজের টিকিট দেয়া হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, গেটের কাছে পড়ে থাকা ৩০ থেকে ৪০ হাজার জাল টিকিট কর্মকর্তারা উদ্ধার করেছে। তার এই দাবি নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছে।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেভাবে লিভারপুল সমর্থকদের দায়ী করেছেন, তাতে মাক্রোঁ রেগে গেছেন। এ নিয়ে মুখপাত্রকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট চাইছেন, প্রকৃত ঘটনা সামনে আসুক। স্বচ্ছতা থাকুক এবং সময় নষ্ট না করে এই কাজ হোক। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপর মাক্রোঁর পূর্ণ আস্থা আছে।
লিভারপুলের অভিযোগ
লিভারপুল জানিয়েছে, তারা পাঁচ হাজার সমর্থকের সঙ্গে কথা বলেছে। সমর্থকরা যা বলেছেন, তাতে তারা প্রচণ্ডভাবে ধাক্কা খেয়েছেন। নারী, শিশু, শারীরিক দিক থেকে অসুবিধেয় থাকা মানুষদের সঙ্গে যেরকম ব্যবহার করা হয়েছে, তা অভাবনীয়।
জিএইচ/এসজি (এএফপি, এপি, জিপিএ, রয়টার্স)