চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে দর্শক হামলা, গ্যাস
৩০ মে ২০২২লিভারপুলকে এক গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে নিয়েছে রিয়েল মাদ্রিদ। কিন্তু খেলা শুরুর আগে দর্শক হাঙ্গামার পর ৬৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ কর্তৃপক্ষের দাবি, লিভারপুলের সমর্থকরাই হাঙ্গামা করেছেন। তারা টিকিট ছাড়াই স্টেডিয়ামে ঢুকতে চেয়েছেন।
তবে সমর্থকদের অভিযোগ, পুরো ঘটনার জন্য দায়ী স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ। তারা টিকিট পরীক্ষা করতে খুব বেশি সময় নিচ্ছিলেন। কিছু বললেই অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করেছেন। পুলিশ বাচ্চাদের উপরেও কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়েছে।
এই বিশৃঙ্খলার জন্য ৩৫ মিনিট পরে খেলা শুরু হয়।
ফরাসি কর্তৃপক্ষের দাবি
উয়েফা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, লিভারপুলের সমর্থকরা জাল টিকিট কিনেছিল। তাই তারা যখন ঢুকতে যায়, তখন ঘূর্ণায়মান দরজা কাজ করেনি। সেই প্রবেশদ্বার ব্লক হয়ে যায়।
ফ্রান্সের কর্মকর্তারা আরো সোজাসুজি বলেছেন, হাজার হাজার ব্রিটিশ সমর্থকের কাছে হয় কোনো টিকিট ছিল না বা জাল টিকিট ছিল, তারা স্টেডিয়াম-কর্মী ও পুলিশের কাজ জটিল করে দেন।
কিন্তু লিভারপুলের সমর্থকরা জানিয়েছেন, তারা স্টেডিয়ামে ঢুকতে না পেরে হতাশ। নিরাপত্তা বলয় ভেঙে পড়েছিল। লিভারপুল সমর্থকেরা হয় স্টেডিয়ামে ঢুকতে পারেননি অথবা অনেক কষ্ট করে ঢুকেছেন।
সংগঠকদের দায়
ডিডাব্লিউর সাংবাদিক ম্যাট পিয়েরসন প্যারিস গেছিলেন এই ম্যাচ কভার করার জন্য। তিনি জানিয়েছেন, সংগঠকরা দায় এড়িয়ে যেতে পারেন না। তাদের ব্যবস্থা ছিল অপ্রতুল। তিনি টুইট করে বলেছেন, ''আমি পৌনে ছয়টা নাগাদ স্টেডিয়ামে পৌঁছাই। তখন ছয় জন কর্মী টিকিট পরীক্ষা করছিলেন। ঢোকার লাইনে ছিলেন প্রচুর সমর্থক। ফলে যে ব্যবস্থা প্রয়োজন, তা ছিল না।''
লিভারপুলের অধিনায়ক অ্যান্ডি রবার্টসন বিবিসি-কে বলেছেন, তার বন্ধুর টিকিট থাকা সত্ত্বেও তাকে স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেয়া হয়নি। ওই টিকিট তিনি নিজে ক্লাব থেকে তুলে বন্ধুকে দিয়েছিলেন। বন্ধুকে বলা হয়, তিনি জাল টিকিট নিয়ে ঢোকার চেষ্টা করছেন।
টিভির ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, কিছু যুবক গেট টপকে স্টেডিয়ামে ঢুকতে যান। তখনই গোলমাল শুরু হয়। তবে যারা গেট টপকে ঢুকছিলেন তাদের গায়ে লিভারপুলের শার্ট ছিল না।
প্যারিসের এই দৃশ্য ২০২০ সালে ওয়েম্বলিতে বিনা টিকিটে সমর্থকদের ঢোকার চেষ্টার ছবি মনে পড়িয়ে দিচ্ছিল।
প্যারিসে ২০২৪ সালের অলিম্পিক হবে। শনিবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল ছিল তারই মহড়া। কিন্তু সেখানে প্রবল বিশৃঙ্খলা হলো।
জিএইচ/এসজি (এএফপি, রয়টার্স)