1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘কেক বড় হলে টুকরোগুলিও বড় হবে'

৯ জুলাই ২০১৯

সংকট কাটিয়ে গ্রিসে বিনিয়োগ, প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান বাড়ানোর অঙ্গীকার করে ক্ষমতায় এলো নতুন সরকার৷ ইউরো এলাকাকে নতুন করে সংকটে না ফেলে প্রয়োজনীয় সংস্কার চালানোই হবে বড় চ্যালেঞ্জ৷

https://p.dw.com/p/3LmPd
Griechenland Vereidigung von Kyriakos Mitsotakis
ছবি: Reuters/A. Konstantinidis

অর্থনৈতিক শক্তির বিচারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তথা ইউরো এলাকার ছোট দেশ গ্রিস৷ কিন্তু সে দেশের আর্থিক ও অর্থনৈতিক সংকট গোটা ইউরোপের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল৷ আমূল সংস্কারের শর্তে আন্তর্জাতিক সহায়তার মাধ্যমে সে দেশের পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে বটে, কিন্তু গ্রিসের সাধারণ মানুষের দুর্দশা এখনো পুরোপুরি কাটে নি৷ কট্টর বামপন্থি শিবিরের নেতা ও প্রধানমন্ত্রী  হিসেবে আলেক্সিস সিপ্রাস কার্যত বাধ্য হয়ে অনেক অপ্রিয় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ ফলে তাঁকে সেই কর্মফল ভোগ করতে হয়েছে৷ ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পর তিনি আগাম নির্বাচন ডেকেছিলেন৷ রোববারের নির্বাচনে রক্ষণশীল শিবির বিপুল ভোটে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে৷ সোমবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন কিরাকস মিৎসোতাকিস৷

কীভাবে গ্রিসের ভোটারদের মন জয় করলেন মিৎসোতাকিস? তাঁর সহজ বার্তা ছিল, কেক বড় হলে তবেই তার টুকরোগুলিও বড় হবে৷ অর্থাৎ সংকট কাটাতে গ্রিসের প্রয়োজন বিপুল অর্থনৈতিক বিনিয়োগ, যার জের ধরে প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান এবং বেতন বাড়বে৷ তিনি করের বোঝাও কমাতে চান৷ ফলে সাধারণ মানুষও উপকৃত হবে৷ বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে তিনি একগুচ্ছ সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন৷ ৫১ বছর বয়সি এই নেতা সোমবার কার্যভার গ্রহণ করার পর বলেন, ‘‘গ্রিসের মানুষ গ্রিসে পরিবর্তন আনতে আমাদের জোরালো সমর্থন দিয়েছেন৷ আমরা সেই দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে পালন করবো৷'' তিনি সময় নষ্ট না করে অবিলম্বে কঠিন পরিশ্রমের অঙ্গীকার করেছেন৷ উল্লেখ্য, মঙ্গলবার মন্ত্রিসভা শপথ গ্রহণ করবে এবং বুধবার প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে৷

গ্রিসের ক্ষমতাকেন্দ্রে পালাবদল সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক দাতাদের প্রতি সে দেশের দায়দায়িত্বের ক্ষেত্রে যে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না, ইউরো এলাকার অর্থমন্ত্রীরা তা আবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন৷ বিশেষ করে সরকারি ব্যয়ের মাত্রার প্রশ্নে আগের সরকারের অঙ্গীকার মেনে চলার ডাক দিয়েছেন তাঁরা৷ ইউরোগ্রুপের প্রধান মারিও সেন্টেনো ব্রাসেলসে সাংবাদিকদের বলেন, সব পক্ষকে তাদের অঙ্গীকার মেনে চলতে হবে৷ অঙ্গীকার ভাঙলে সবার আগে বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হবে৷ ফলে আস্থা, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষতি হবে৷

সাবেক প্রধানমন্ত্রী আলেক্সিস সিপ্রাস  তাঁর প্রচারে মিৎসোতাকিস ও তাঁর নব্য গণতন্ত্র দল সম্পর্কে ভোটারদের সতর্ক করার চেষ্টা করেছিলেন৷ মিৎসোতাকিস-এর বাবা কনস্টান্টিন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন৷ এমন পরিবারতন্ত্রই গ্রিসকে ২০১০ সালে দেউলিয়া করে তুলেছিল বলে সিপ্রাস অভিযোগ করেন৷ এথেন্স শহরের নতুন মেয়রও এই পরিবারের সদস্য৷ সিপ্রাস মনে করেন, যে তিনি দেশের জনসংখ্যার দুর্বল শ্রেণির জন্য যে সামাজিক ব্যয় চালু করেছিলেন, নতুন প্রধানমন্ত্রী তা বাতিল করবেন৷

এসবি/কেএম (এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য