1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গ্রিসের টিলাভরা নিসর্গের আকর্ষণ

১৫ নভেম্বর ২০১৮

গ্রিসের মধ্যভাগে এক অপূর্ব নিসর্গ স্থানীয় মানুষের কাছেও বড় আকর্ষণ৷ ছোট বয়স থেকেই মানুষ সেখানকার টিলায় চড়তে অভ্যস্ত৷ এর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার সুন্দর সম্পর্কও তৈরি হয়৷

https://p.dw.com/p/38H6m
ছবি: DW

গ্রিসের মূল ভূখণ্ডের মাঝে মেটেওরা-র জাদুময় টিলা৷ যাঁরা পাহাড় চড়তে ভালোবাসেন, তাঁদের জন্য এই এলাকা যাকে বলে স্বর্গরাজ্য৷ যেমন ভাঙ্গেলিস বাৎসিয়স৷ পাহাড়ের পাদদেশে কাসত্রাকি নামের ছোট্ট জনপদে তিনি থাকেন৷ তিনি বলেন, ‘‘পাহাড় চড়াই আমার জীবন, সবকিছু৷ ঘুম থেকে উঠে পাহা়ড় দেখেই মনে হয়, তার উপর চড়তে হবে৷ জায়গাটা খুব ভালোবাসি৷’’

প্রায় ২ কোটি বছর আগে সেখানে এক নদীর স্রোত থেকে পাথর, বালু ও কাদামাটি জমে এই টিলাগুলি সৃষ্টি হয়৷

গ্রিসের টিলাভরা নিসর্গের আকর্ষণ

আরিস্টিডিস মিত্রোনাৎসিয়স বহু বছর ধরে মেটেওরায় পর্বতারোহীদের সঙ্ঘের সভাপতি ছিলেন৷ তিনি এখনো পাহাড়ে ওঠেন৷ প্রায়ই সেখানে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে দেখা হয়৷ ভাঙ্গেলিস বাৎসিয়স ও তাঁর বন্ধু ক্রিস্টস সুরভাকাস পাহাড়ে চড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন৷ ক্রিস্টস সুরভাকাস মেটেওরা-র প্রায় ৮০০ রুটের মধ্যে অন্যতম সুন্দর পথ বেয়ে উঠছেন৷ প্রায় ২৫০ মিটার উঁচু এই টিলায় ওঠার সময় তাঁর বন্ধু নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রাখছিলেন৷ ক্রিস্টস বলেন, ‘‘এ এক মুক্তির স্বাদ৷ নিজেকে জানার, নিজের সীমা জানা, তা অতিক্রম করার উপায়৷ প্রথাগত চিন্তাধারা থেকে বেরিয়ে ভাবার পথ৷ অনেকটা যোগাসনের মতো৷ আসনের কসরত করতে করতে আরামের চেষ্টা করা৷ পাহাড় চড়া ছাড়া জীবনের কথা ভাবতেই পারি না৷’’

ক্রিস্টস সুরভাকাস ও ক্রিস্টস বাটালোইয়ানিস আগামী বছরগুলিতেও ঘনঘন এই চূড়ায় উঠবেন, এমনটা ধরেই নেওয়া যায়৷

আক্সেল প্রিমাভেসি/এসবি