1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কওমী মাদ্রাসার সংস্কার

জাহিদুল হক৬ মে ২০১৩

রবিবার ঢাকা অবরোধের নামে মতিঝিল ও এর আশেপাশের এলাকায় যে তাণ্ডব চালিয়েছে হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা তাতে দেশের সাধারণ মানুষের মতো হতবাক ব্লগার আর ফেসবুক ব্যবহারকারীরা৷

https://p.dw.com/p/18SvK
ছবি: Reuters

ফেসবুকে সক্রিয় জামাত শিবিরের সমর্থক বলে পরিচিত ফেসবুক গ্রুপগুলো৷ বেশিরভাগ গণমাধ্যমে যেখানে হেফাজতের তাণ্ডবের কথা বলা হচ্ছে সেখানে এই গ্রুপগুলো হেফাজতের উপর পুলিশি নির্যাতনের সপক্ষে বক্তব্য ও ভিডিও পোস্ট করা হচ্ছে৷

রাতের বেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের মুখে আটকে পড়াদের একটি বড় অংশ ছিল বিভিন্ন মাদ্রাসার শিশু ও কিশোর৷ ডয়চে ভেলেকে তারা জানায়, হুজুররা তাদের নিয়ে এলেও তাদের রেখে পালিয়েছে৷

হেফাজতের বেশিরভাগ কর্মী কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী হওয়ায় ঐ প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কারের কথা উঠেছে৷ আমারব্লগ'এ ‘সত্যের সন্ধানী' এখনই এই সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করার দাবি জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন, এসব মাদ্রাসায় ছাত্ররা কুরআন হাদিস শিক্ষার নামে শিখছে, তারা ছাড়া অন্য সকলকে কাফির মুনাফিক হিসেবে বিবেচনা করতে, জিহাদের নামে সন্ত্রাসী হামলা করতে আর জ্বালাও-পোড়াও-হত্যা করতে৷ ‘‘দেশের সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে তারা প্রকৃত মুসলমান মনে করে না৷ আর তাই তাদের প্রতি তাদের কোনো সহানুভূতিও নেই৷ তাই যদি থাকত তাহলে ঢাকাতে যে তাণ্ডব করেছে তা করতো না কখনও,'' বলেন তিনি৷

‘সত্যের সন্ধানী' বলেন কওমী মাদ্রাসাগুলোকে সরকারের নিয়ন্ত্রণে এনে এখনই তাদের শিক্ষার পাঠ্যক্রমে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন৷ আর যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এসব মাদ্রাসায় অর্থ সাহায্য দিয়ে থাকে তাঁরা যেন অচিরেই মাদ্রাসাগুলোকে চাপ দিয়ে তাদের পাঠ্যক্রম পরিবর্তন করতে বাধ্য করে, সেই আহ্বান জানান তিনি৷

এদিকে, নাগরিক ব্লগে নূরুল ইসলাম খান লিখেছেন, ‘‘হেফাজতের সৃষ্ট ভয়ংকর সহিংস পরিস্থিতিতে সবচেয়ে কষ্টদায়ক যে ব্যাপারটি পীড়া দিচ্ছে তা হচ্ছে শিশু অধিকার লঙ্ঘন৷ ওরা মাদ্রাসায় পড়ুয়া এতিম নাবালক কোমলমতি অবুঝ শিশুদের হাতে লাঠি-সোটা তুলে দিয়েছে৷...হেফাজত নেতৃবৃন্দের কাছে জানতে চাই এহেন সহিংসতায় নিক্ষিপ্ত করে এই কোমলমতি শিশুদের মানসিকভাবে পঙ্গু করে তাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করার অধিকার আপনাদের কে দিলো?''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য