রুপালি পর্দায় মৃত্যুর লড়াই
৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসব৷ উৎসবের তৃতীয় দিন, অর্থাৎ আগামী ৮ সেপ্টেম্বর থাকছে বিশেষ আকর্ষণ৷ সেদিন চলচ্চিত্র অনুরাগীরা প্রাণভরে উপভোগ করবেন হলিউডের পরিচালক রন হাওয়ার্ডের নতুন ছবি, ‘রাশ'৷ ছবির মূল কাহিনী কমপক্ষে ৪৩ বছর আগের কিছু ঘটনা নিয়ে৷ ঘটনাগুলো ফর্মুলা ওয়ানের৷ হ্যাঁ, গাড়ি নিয়ে সেই গতির লড়াই, যে লড়াইয়ে প্রতি মুহূর্তে থাকে জীবন বিসর্জনের ঝুঁকি৷ সত্তরের দশকে ঝুঁকিটা যেন বেশিই নেয়া হতো৷ অস্ট্রেলিয়ার নিকি লডা আর ব্রিটেনের জেমস হান্টের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তো এমন ছিল যে দু'জনই শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে ড্রাইভিং সিটে বসতেন জীবন হাতে নিয়ে৷ ফর্মুলা ওয়ান যাঁরা দেখতে ভালোবাসেন, তাঁদের অনেকেরই নিকি লডার জীবনের একটি ঘটনা চিরকাল মনে থাকবে৷ একবার ট্র্যাকে মরতে বসেছিলেন তিনি৷ প্রতিযোগিতায় প্রথম হতে গিয়ে, প্রতিযোগীদের মধ্যে সবার আগে মৃত্যু বরণ করেই ফেলতেন একটু হলে৷ দুর্ঘটনায় ক্ষতবিক্ষত শরীর আগুনে পুড়ে এমন হয়েছিল যে চেনাই যাচ্ছিল না তাঁকে৷ সেই অবস্থা থেকেও সুস্থ হয়ে গ্রাঁ প্রি-ও জিতেছিলেন নিকি লডা৷
‘রাশ' দেখলে জীবনযুদ্ধের অসমসাহসী এই বীরকেও দেখা যাবে৷ রন হাওয়ার্ডের অনেক ছবিতেই অবশ্য এমনটি দেখা যায়৷ ৫৯ বছর বয়সি এই পরিচালকের ‘ইন দ্য হার্ট অফ দ্য সি' ছবিটির কথাই ধরুন৷ সেখানে দেখানো হয়েছিল ১৮২০ সালে এক ঝাঁক তিমি মাছের আক্রমণের পরও ৯০ দিন অবিশ্বাস্য এক লড়াই করে এক জাহাজের নাবিকের বেঁচে থাকার গল্প৷
রন হাওয়ার্ডের জীবনের গল্পটাও অসাধারণ৷ হলিউডে অভিষেক শিশু অভিনেতা হিসেবে৷ আর অনেকের মতো শৈশবের খ্যাতি উদযাপন করতে করতেই বাকি জীবন তিনি পার করে দেননি৷ প্রথম ছবি পরিচালনা করেছিলেন ২৬ বছর বয়সে৷ অভিনেতা থেকে পরিচালক হয়ে ভুল করেননি৷ তাহলে কি আর ‘আ বিউটিফুল মাইন্ড' ছবির জন্য ২০০১ সালে অস্কার জিততে পারতেন?
এসিবি/এসবি (এএফপি)