1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অস্ট্রেলিয়া ছাড়লেন নোভাক জোকোভিচ

১৭ জানুয়ারি ২০২২

আদালতে আবেদন বাতিল। অস্ট্রেলিয়া ওপেনে যোগ দেওয়া সম্ভব হলো না টেনিস তারকা জোকোভিচের। রোববার রাতে দুবাইয়ের বিমান ধরেন তিনি।

https://p.dw.com/p/45c7h
নোভাক জোকোভিচ
ছবি: Loren Elliott/REUTERS

প্রশাসনের তরফে দ্বিতীয়বার ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল শুক্রবার। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে দ্বিতীয়বার আপিল করেছিলেন টেনিস তারকা নোভাক জোকোভিচ। রোববার আদালত জানিয়ে দেয়, তারা নতুন করে এই মামলা আর গ্রহণ করবে না। ফলে এবছরের মতো অস্ট্রেলিয়া ওপেন খেলার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় জোকোভিচের। রোববার সন্ধেবেলায় দুবাইয়ের বিমান ধরেন সার্বিয়ান টেনিস তারকা। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ইতিহাস তৈরির সুযোগ ছিল জোকোভিচের। ২১তম গ্র্যান্ডস্লাম জেতার রেকর্ড তৈরি করতে পারতেন।

আদালতের রায় শোনার পর জোকোভিচ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি অত্যন্ত হতাশ। অন্যদিকে তার দেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। তার বাবা বিশাল এক মিছিলের আয়োজন করেছিলেন। সেখানে তিনি বলেছেন, তার ছেলেকে 'ক্রুশবিদ্ধ' করা হলো। সার্বিয়ার প্রেসিডেন্টও বিষয়টি অন্যায় বলে দাবি করেছেন।

অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন রোববার জানিয়েছেন, আদালতের এই রায়ে দেশের সীমান্ত আরো সুরক্ষিত হলো। দেশের মানুষকে কোভিডের হাত থেকে চূড়ান্ত সুরক্ষা দেওয়া গেল। জোকোভিচকে বিশেষ সুবিধা দিলে, টিকাহীন আরো ব্যক্তিকে এই সুবিধা দিতে হতো বলে তিনি জানিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে লকডাউন জারি রেখে অস্ট্রেলিয়া যেভাবে কোভিডের সঙ্গে লড়াই করেছে, জোকোভিচকে ছাড়পত্র দিলে সেই লড়াই ক্ষতিগ্রস্ত হতো বলে তিনি জানিয়েছেন।

টেনিস সংস্থা এটিপি জানিয়েছে, জোকোভিচের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলতে না পারা টেনিসের ক্ষতি। কিন্তু এই ঘটনা শিক্ষা দিল, সমস্ত খেলোয়াড়ের দ্রুত টিকা নেওয়া দরকার। কোভিডবিধি মেনে চলতে হবে সকলকে।

গত ৬ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়ায় পা রেখেছিলেন জোকোভিচ। কিন্তু তাকে অভিবাসন দপ্তর আটকে দেয়। অভিযোগ তার টিকা নেওয়া নেই। টিকা নেওয়া না থাকলে চিকিৎসকের যে কাগজ দেখাতে হয়, তা-ও তার কাছে ছিল না বলে অভিযোগ। এরপর বিষয়টি আদালত পর্যন্ত পৌঁছায়। কিন্তু শেষপর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে যোগ দেওয়ার ছাড়পত্র পেলেন না জোকোভিচ।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি, এপি)