লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন ১০১ জন বাংলাদেশি
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ত্রিপোলি বিমানবন্দর থেকেই এই ১০১ জন বাংলাদেশি নাগরিক টার্কিশ এয়ারওয়েজ যোগে ঢাকা রওয়ানা হন৷ আর ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছান দুপুর ২টার দিকে৷ তাঁরা যে কোম্পানিতে কাজ করতেন, তাদের ব্যবস্থাপনাতেই দেশে ফিরলেন তাঁরা৷ দেশে ফেরার পর তাঁরা জানান, লিবিয়ায় বহু বাংলাদেশি চরম দুরবস্থার মধ্যে আছেন৷ ঢাকায় আসার জন্য তাঁদের বেশ কয়েকদিন ত্রিপোলি বিমানবন্দরে অপেক্ষা করতে হয়েছে৷ ঢাকায় আসার পর দ্রুত তাঁদের বিমানবন্দর থেকে নিয়ে যাওয়া হয়৷
এদিকে সারা দেশেই লিবিয়া প্রবাসীদের আত্মীয়-স্বজনের ক্ষোভ বাড়ছে৷ তাঁরা প্রতিদিনই তাঁদের স্বজনদের লিবিয়া থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য মানব বন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন করছেন৷ আজ শরিয়তপুর, টাঙ্গাইল ও চাপাই নবাবগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল এবং প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন লিবিয়া প্রবাসীদের স্বজনরা৷ সংবাদ সম্মেলনে তাঁদের আত্মীয়-স্বজনরা সবাই একযোগে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন৷
তাঁরা অভিযোগ করেন যে, সরকার তাঁদের স্বজনদের লিবিয়া থেকে ফিরিয়ে আনার সব রকম ব্যবস্থার কথা বললেও, তাঁরা সেই কথার কোনো ফল দেখতে পাচ্ছেন না৷ কেউ কেউ জনান যে তাঁদের স্বজনরা লিবিয়ায় ঠিক কোথায় আছেন, সে খবরটুকুও তাঁরা পাচ্ছেন না৷ তাঁরা বেঁচে আছেন, না মরে গেছেন - অন্তত সেই খবরটুকু জানাতে সরকারকে অনুরোধ করেছেন লিবিয়া প্রবাসীদের আত্মীয়-স্বজনরা৷ একজনের মা বলেন, যে কোনো কিছুর বিনিময়ে তিনি তাঁর সন্তানকে ফেরত চান৷
ওদিকে দুবাই সফররত পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডা. দিপুমনি বলেছেন, লিবিয়ায় আটক বাংলাদেশিদের উদ্ধারে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে৷ শুধু তাই নয়, তাঁরা যেসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন সেই সব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের ফেরত আনার ব্যবস্থাও নিচ্ছে সরকার৷
সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস ঢাকায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, দু-তিন দিনের মধ্যে ১ হাজার বাংলাদেশিকে লিবিয়া থেকে বাংলাদেশে ফেরত আনা হচ্ছে৷ আর ৮৯০০ জন বাংলাদেশি লিবিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর সীমান্তে অপেক্ষা করছে বলেও জানান তিনি৷ তাঁদের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তায় নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে খবর৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ