রাজনীতির পালে নতুন হাওয়া
২২ অক্টোবর ২০১৩সব মিলিয়ে থমকে থাকা রাজনীতি যেন অনেকটা প্রাণ ফিরে পেয়েছে৷ তার প্রমাণ দেখা যাচ্ছে ব্লগ আর ফেসবুকে৷ খালেদা জিয়ার প্রস্তাবের পর সামহয়্যার ইন ব্লগে মুহাম্মদ শফিউল্লাহ লিখেছেন ১৯৯৬ আর ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা মিলিয়ে ১৫ জন জীবিত আছেন৷ এরমধ্যে কারা সুস্থ আছেন তিনি সেটাও উল্লেখ করেছেন৷
শফিউল্লাহ লিখেছেন, ‘‘দেশের চরম সংকটময় পরিস্থিতিতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া একটি চমৎকার প্রস্তাব দিয়েছেন৷ রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত আলোচনার মাধ্যমে এই প্রস্তাবকে গ্রহণ করা৷...খালেদা জিয়া শেখ হাসিনার মতো নির্লজ্জভাবে নিজের দেওয়া প্রস্তাবের প্রস্তাবিত সর্বদলীয় সরকারের প্রধান হতে চান নি৷ তিনি দেশকে স্থিতিশীলতার দিকে নিতে চান বলেই তাল গাছ আমার এই জাতীয় কথা বলে কারো পরামর্শ দাবি করেননি৷ তিনি যে প্রস্তাবটি দিয়েছেন তা অবশ্যই অত্যন্ত সময়োপযোগী প্রস্তাব৷''
তবে আমারব্লগে তাজমুল আক্তার লিখেছেন, বিএনপির অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা গণতন্ত্রকে আরো পিছিয়ে দেবে৷ এই রূপরেখাকে ‘অদ্ভুত প্রস্তাব' আখ্যায়িত করে তিনি লিখেছেন, এর আগে কেউ এমনটা শুনেছে কিনা সে বিষয়ে তার সন্দেহ রয়েছে৷ তাজমুল আক্তার লিখেছেন, ‘‘আমি নিজে তত্ত্বাবধায়কের পক্ষে না কারণ এটা সংবিধান এর সাথে সাংঘর্ষিক৷ তত্ত্বাবধায়ক সরকার থেকে একদিন আমাদের সরে আসতেই হতো এবং সেইটা যত তাড়াতাড়ি হতো তা গণতন্ত্রের জন্য মঙ্গলকর হতো৷ শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়কের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়ে দেশকে গণতন্ত্রের পথে একধাপ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন৷''
পাশাপাশি, বিএনপির প্রস্তাবের কারণে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে তারও একটা তালিকা করেছেন তিনি৷ যেমন অনির্বাচিত সরকার, অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক, স্বল্পস্থায়ী সমাধান এবং এ প্রস্তাব মেনে নিলে পাঁচ বছর পর নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দেশকে আবারও রাজনৈতিক অচলাবস্থার ভিতর পড়তে হবে, যা দেশের অর্থনীতি এবং স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হবে৷
সংকলন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন