1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘খালেদা জিয়ার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়'

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২২ অক্টোবর ২০১৩

খালেদা জিয়া সাবেক দুই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ১০ জন উপদেষ্টাকে নিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠনের যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তা নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনাকে নাকচ করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ৷ তাদের কথায়, খালেদার প্রস্তাবে নতুন কিছু নেই৷

https://p.dw.com/p/1A3NP
TO GO WITH Bangladesh-vote-Zia-Hasina,PROFILE by Shafiq Alam (FILES) In this combination of pictures created on December 23, 2008, Bangladesh's last prime minister Khaleda Zia (L) and last opposition leader Sheikh Hasina Wajed (R) gesture during their respective political rallies in Dhaka on December 21, 2005 and February 5, 2006. Bangladesh's feuding former prime ministers are fighting to return to power in elections next week that will restore democracy after two years of army-backed government. Despite international hopes that Bangladeshi politics could open up a new chapter, either Sheikh Hasina Wajed or Khaleda Zia -- nicknamed the 'battling begums' for their longstanding rivalry -- will soon be back in control. Both women, from opposing political dynasties, were jailed for a year on corruption charges by the current regime but deals have seen them released from custody to ensure they take part in the vote. Sheikh Hasina, who is seen as the favourite to win, ruled Bangladesh from 1996-2001 but has struggled to escape from the shadow of her father who led the country to independence before being assassinated in a military coup. The killings in 1975 wiped out almost all of Sheikh Hasina's family including her mother, three brothers, and father, president Sheikh Mujibur Rahman, who led Bangladesh in its liberation struggle against Pakistan in 1971. AFP PHOTO/Farjana K. GODHULY/FILES (Photo credit should read FARJANA K. GODHULY/AFP/Getty Images)
ছবি: Getty Images/AFP/FARJANA K. GODHULY

১৯৯৬ এবং ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্য থেকে ১০ জনকে নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের যে প্রস্তাব বিরোধী দলীয় নেত্রী দিয়েছেন, তা নিয়ে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ৷ তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, বিএনপি চেয়ারপার্সেন যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া আর কিছুই না৷ তাঁর এই প্রস্তাব কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়৷ তাঁর কথায়, নির্বাচনকালীন সরকার হবে সংবিধানের আলোকে৷ আর কোনো অনির্বাচিত ব্যক্তি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে থাকতে পারবেন না৷ তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন৷ এখন তারা কিভাবে নিরপেক্ষ হবেন?

ওদিকে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক এবং পরিবেশমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, খালেদা জিয়া দেশকে একটি সংঘাতের দিকে নিতে চান৷ তিনি নির্বাচন চান না৷ আর তাই পুরনো তত্ত্বাবধায়কের কথাই বলেছেন তিনি৷ প্রতিটি নির্বাচনের আগেই বেগম জিয়া একটি সংকট সৃষ্টি করেন – এমন অভিযোগ করে হাছান মাহমুদ বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর ফিরে আসবে না৷

The ex prime minister and present opposition leader Begum Khaleda Zia, in Commilla on her way in a road march to Chittagong. BNP demands to retain the caretaker government system. Foto: DW- Korrespondent Harun Ur Rashid Swapan, 08.01.2012
বিরোধী দলায় নেত্রা খালেদা জিয়া...ছবি: DW

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উদেষ্টা ড. আকবর আলি খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধী দলীয় নেত্রীর প্রস্তাবের মধ্যে বিস্তর ফারাক৷ এই দুটি প্রস্তাবকে এক করে সমঝোতায় পৌঁছানোর কোনো সুযোগ আছে বলে তিনি মনে করেন না৷ তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা সংবিধানের মধ্যে থেকেই দিয়েছেন৷ আর খালেদা জিয়ার প্রস্তাব মানতে হলে শুধুমাত্র একটি নির্বাচনের জন্য সংবিধান সংশোধন করতে হবে৷

ড. আকবর আলি খান বলেন, ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালের ২০ জন উপদেষ্টার মধ্যে ১৮ জন জীবিত আছেন৷ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আগের বিধান অনুযায়ী, উপদেষ্টাদের বয়স ৭০ বছরের বেশি হতে পারবে না৷ কিন্তু তাঁদের সকলের বয়সই এখন ৭০ বছর ছাড়িয়েছে৷

প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিকুল হকও বলেন যে, খালেদা জিয়ার প্রস্তাব মানতে হলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে৷ তবে তিনি মনে করেন, শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়া যে দুটি প্রস্তাব দিয়েছেন তা একসঙ্গে করে আলোচনা শুরু করা যায়৷ দুটি প্রস্তাবের মধ্যে অনেক পার্থক্য থাকলেও, আলোচনার মাধ্যমে হয়ত কোনো সমাধান আসতে পারে৷

২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে একজন ছিলেন সাবেক আইজিপি এ এস এম শাহজাহান৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, খালেদা জিয়া যে প্রস্তাব করেছেন সেটা অনুযায়ী কাজ হলে তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকারে থাকবেন কিনা – সে প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সময় এখন নয়৷ এখন প্রয়োজন দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে সমঝোতা৷ কিন্তু এর কোনো আশা তিনি দেখতে পাচ্ছেন না৷ তাঁর কথায়, কেউ কাউকে ছাড় দিচ্ছে না৷ আর ছাড় না দিলে সংঘাত যে অনিবার্য!

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান