1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ম্যার্কেল-মন্টি বৈঠক

৫ জুলাই ২০১২

ইউরো অঞ্চলের ঋণ সংকট কাটিয়ে ইউরোপীয় দেশসমূহের অর্থনৈতিক ভিত্তিকে আরো শক্তিশালী করতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জার্মানি ও তার প্রতিবেশীরা৷ এর অংশ হিসেবে ইটালির প্রধানমন্ত্রীর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করলেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷

https://p.dw.com/p/15RZI
ছবি: AP

জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেল এবং ইটালীয় নেতা মন্টি বুধবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে জানালেন দুই দেশের মধ্যে নিবিড় সম্পর্কের কথা৷ এছাড়া ইটালির ঋণ সংকট কাটাতে সংস্কার কর্মসূচি নিয়েও দুই নেতার মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে রোমের ঐতিহাসিক ভবন ভিলা মাদামা'য়৷ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে দুই নেতা তাঁদের বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতামূলক আলোচনার বিষয়সমূহ তুলে ধরেন৷ মন্টি বলেন, ‘‘তাঁর সরকার শীঘ্রই প্রবৃদ্ধির চাকা ঘোরাতে বাজেট ঘাটতি হ্রাস, অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা এবং কাঠামোগত সংস্কার কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ৷''

Merkel und Monti in Rom
রোমে ম্যার্কেল ও মন্টিছবি: AP

ইটালির ঋণের বোঝা লাঘব করতে এবং সরকারের বাজেট ঘাটতি হ্রাসের লক্ষ্য পূরণে গত বছর সরকারি খাতে কাটছাঁট করে এবং কর বৃদ্ধি করে মন্টি প্রশাসন৷ তবে তা যথেষ্ট না হলেও তাতে ইতিবাচক ফল পাওয়া গেছে৷ তাই শীঘ্রই আরেক দফা সরকারি খাতে খরচ কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী মন্টি৷

এছাড়া ইটালীয় নেতা মন্টি জানান, দেশের ঋণ সংকট সমাধানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ থেকে বেলআউট চাইবে না তাঁর সরকার৷ তাঁর সরকারের বাজেট ঘাটতি হ্রাসের পথে আশার কথাও শুনিয়েছেন মারিও মন্টি৷ তিনি বলেন, ‘‘চলতি বছরে ইটালির বাজেট ঘাটতি দেশটির গড় জাতীয় উৎপাদন তথা জিডিপি'র দুই শতাংশতে দাঁড়াবে, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেঁধে দেওয়া বাজেট ঘাটতি সীমার প্রায় অর্ধেক৷'' আর পরের বছর কাঠামোগত পরিভাষায় প্রবৃদ্ধি ঘটবে বলে আশার বাণী শোনান মন্টি৷ তবে এর আগে ইটালির চলতি বছরে বাজেট ঘাটতি ১.৩ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছিল মন্টি সরকার৷ সেই হিসাবে এখন দুই শতাংশ ঘাটতির বিষয়টিকে নেতিবাচক হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে৷ অবশ্য ২০১১ সালে তাদের বাজেট ঘাটতি ছিল ৩.৯ শতাংশ৷

সংকট উত্তরণের ইটালির পক্ষ থেকে গৃহীত পদক্ষেপের সন্তোষ প্রকাশ করেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘আমাদের ৬০ শতাংশ রপ্তানি পণ্য যায় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত প্রতিবেশী দেশসমূহে৷ আর ৪০ শতাংশ রপ্তানি হয় ইউরো অঞ্চলের দেশগুলোতে৷ এর অর্থ হলো, আমাদের নিজেদের স্বার্থেই ইউরোপের সব দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রয়োজন৷ কারণ তা নাহলে জার্মানিও সমৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে পারবে না৷''

এএইচ / ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য