1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতা নিয়ে শাহরিয়ার কবিরের তথ্যচিত্র

১৯ ডিসেম্বর ২০১১

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শুধু ভারতীয় সেনাবাহিনী নয়, ভারতের বহু সাধারণ মানুষও বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সহযোগিতার হাত৷ এঁদের সবার অবদান নিয়ে একটি তথ্যচিত্র, ''দুঃসময়ের বন্ধু'', দেখান হল কলকাতায়৷

https://p.dw.com/p/13V9A
কলকাতায় বাংলাদেশের বিজয় দিবসের উৎসব, ২০০৬ সালে তোলা ছবিছবি: AP

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে ভারতের নাম অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত৷ ভারতের সার্বিক সাহায্য ও সহযোগিতা ছাড়া মুক্তিযুদ্ধে এত দ্রুত বিজয় অর্জন কখনও সম্ভব হত না৷

''দুঃসময়ের বন্ধু'' তথ্যচিত্রটির প্রদর্শনী উপলক্ষে প্রকাশিত পুস্তিকাটির শুরুতেই এই কথাগুলি লেখা হয়েছে৷ বস্তুত মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ওই অবদানকে স্বীকৃতি দিতেই ৯০ মিনিটের এই তথ্যচিত্রটি বানিয়েছেন বাংলাদেশের সুপরিচিত লেখক-সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির৷ কেন, কীসের তাগিদ থেকে ইতিহাসকে এই ফিরে দেখা৷ শাহরিয়ার জানালেন, বাংলাদেশের সমস্যাটা একটু বোঝা প্রয়োজন৷ ৪০ বছর হল দেশ স্বাধীন হয়েছে, কিন্তু তার মধ্যে ৩০ বছরই ক্ষমতায় ছিল স্বাধীনতা বিরোধীরা৷ এর একটা অভিব্যক্তি হল, অন্ধ ভারত বিরোধিতা৷ ভারতের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ এবং মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানকে অস্বীকার করা, ইতিহাসকে মুছে ফেলা৷

Audioslideshow Pakistan Bangladesh Bürgerkrieg
একাত্তরে বাংলাদেশের মাটিতে মিত্র বাহিনীর এক সেনাছবি: AP

আরও একটা কথা শাহরিয়ার কবির বললেন যে, তাঁর মনে হয়েছে, বাংলাদেশের বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে যেন কিছুটা উদাসীন৷ অন্যদিকে ধর্মীয় মৌলবাদ তৎপর, বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক চরিত্রকে নষ্ট করতে৷ এই পরিস্থিতিতে ছবিটি করা তাঁর আরও জরুরি মনে হয়েছে৷

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে লড়াই হয়েছিল নানা পর্যায়ে, নানা ফ্রন্টে৷ মুক্তিযোদ্ধারা যেমন ময়দানে দাঁড়িয়ে লড়েছেন, তেমন স্বাধীনতার বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে যুদ্ধ করেছেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিকেরা৷ তাঁদের এবং ভারতে তাঁদের সহযোগীদের কথাও আছে এই তথ্যচিত্রে৷

দুঃসময়ের বন্ধুদের কথা শুনতে শুনতে কখনও যেমন চোখ অশ্রুসজল হয়েছে, তেমন কখনও চোয়াল শক্ত হয়েছে অমানবিকতার বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃণায়৷ এই তথ্যচিত্র সব অর্থে এক ঐতিহাসিক সময়ের দলিল হয়ে উঠেছে, যার জন্য কৃতজ্ঞ থাকবে ভবিষ্যৎ৷

প্রতিবেদন: শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য