মুক্ত পেশাজীবী
২৭ আগস্ট ২০১২তথ্য প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে সাংবাদিকদের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কয়েক বছর আগে তথ্য প্রযুক্তি খাতের সম্ভাবনা নিয়ে যখন কথা হচ্ছিল, তখন সবাই কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারের উপর থেকে শুল্ক সরিয়ে নেয়ার প্রস্তাব রাখছিলেন৷ তখন সাংবাদিকরাও এই বিষয়টি নিয়ে বেশি বেশি লেখালেখি করে সরকারের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করেছে৷ যার ফলশ্রুতিতে সরকার কম্পিউটার হার্ডওয়্যারের উপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয়৷ খান'এর দাবি, এক্ষেত্রে সাংবাদিকরাই আসল ভূমিকা পালন করেছিলেন৷ তিনি বলেন, কম্পিউটারকে মধ্যবিত্তের আওতার মধ্যে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে শুল্ক প্রত্যাহারটা জরুরি ছিল৷
বিআইজেএফ সভাপতি বলেন, গত তিন চার বছর ধরে তাঁরা আউটসোর্সিং নিয়ে কাজ করছেন৷ এই খাতে তরুণদের আগ্রহী করে তুলতে এবং এ খাত বিকাশে যে সমস্যাগুলো রয়েছে সেসব সমাধানে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে তথ্য-প্রযুক্তি সাংবাদিকরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন৷
খান বলেন, ‘‘সরকার যেন স্কুল, কলেজসহ সারা দেশের মানুষকে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ করে দিতে উদ্যোগ নেয়, সে চেষ্টা করে যাচ্ছেন সাংবাদিকরা৷''
তিনি বলেন, গত দুই তিন বছর আগেও বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সার বা মুক্ত পেশাজীবীর সংখ্যা ছিল মাত্র এক দেড় হাজার৷ কিন্তু এখন সেটা ৪০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে৷ এই খাত থেকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন সম্ভব বলে মনে করেন এই সাংবাদিক৷
খান বলেন, গত বছরের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, আউটসোর্সিং খাতে বিশ্বের শীর্ষ ৩০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি ছিল৷ বর্তমানে সেই তালিকা থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ১০-১৫টি দেশের মধ্যে চলে আসবে বলে মনে করেন মুহাম্মদ খান৷
সাক্ষাৎকার: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ