1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টাকা আয় করতে চান? আউটসোর্সিং করুন

১ আগস্ট ২০১১

আউটসোর্সিং৷ তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত শব্দ এটি৷ বিভিন্ন দেশের তরুণরা আউটসোর্সিং থেকে অনেক অর্থ উপার্জন করছে৷ বাঙালি তরুণরাও এবার এই ব্যবসায় সাফল্য পেতে শুরু করেছে৷

https://p.dw.com/p/127CY
Wer hat das Bild gemacht/Fotograf?: Nate Tabak Finnish National Committee on Space Research Wann wurde das Bild gemacht?: 2010 Wo wurde das Bild aufgenommen?: Pristina Bildbeschreibung: Workers code away at Appdec in Pristina, Kosovo. In welchem Zusammenhang soll das Bild/sollen die Bilder verwendet werden?: Artikelbild Artikel über Kosovo Outsourcing
ছবি: Nate Tabak

আউটসোর্সিং কী

অ্যামেরিকা, ইউরোপে যেসব কোম্পানি তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কাজ করে তারা তাদের কাজের বড় একটা অংশ অন্য দেশের কর্মীদের দিয়ে করিয়ে থাকে৷ অর্থ বাঁচানোই এর প্রধান উদ্দেশ্য৷ কারণ অন্য দেশের কর্মীদের কম টাকা দিয়েই কাজ করানো যায়৷ এক্ষেত্রে তাদের প্রথম পছন্দ ভারত, শ্রীলঙ্কা, চীন, ফিলিপাইন, ভিয়েতনামের জনশক্তি৷ এখন অবশ্য এসব নামের সঙ্গে বাংলাদেশের নামও ঢুকে গেছে৷

বিশ্ব তালিকায় বাংলাদেশ

গত বছরের ডিসেম্বরে বিখ্যাত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘গার্টনার' একটি তালিকা তৈরি করেছে৷ সেখানে আউটসোর্সিং এর জন্য ভাল এমন ৩০টি দেশের নাম আছে৷ বাংলাদেশ তাদের মধ্যে একটি৷ ফলে যেসব কোম্পানি আউটসোর্সিং এর জন্য লোক খুঁজে তারা বাংলাদেশকেও তাদের অন্যতম পছন্দের তালিকায় রাখছে৷ এমন তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশে সফটওয়্যার ডেভেলপারদের সংগঠন ‘বেসিস'এর প্রধান মাহবুব জামান৷ তিনি বলছেন, গার্টনারের প্রতিবেদনের কারণে তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের একটা ভাল ইমেজ তৈরি হয়েছে৷

Junge Nordkoreaner sitzen in einem Computerraum der "Hanawon", einer Sammelunterkunft für Flüchtlinge aus Nordkorea im südkoreanischen Ansong (Foto vom 08.07.2009). Hanawon, was übersetzt «Haus der Einheit» bedeutet, ist eine ausgedehnte Anlage von zahleichen Gebäuden, die für die Flüchtlinge die erste Station ihres Aufenthalts in Südkorea ist. Foto: Lim Ji Young dpa (zu dpa-Reportage "Anfang bei Null: Nordkoreaner in Südkorea" vom 16.07.2009) +++(c) dpa - Report+++
ছবি: picture-alliance/ dpa

গার্টনার বলছে, সস্তা শ্রম আর পর্যাপ্ত জনশক্তি, এই দুটি কারণে বাংলাদেশ আউটসোর্সিং এর জন্য সম্ভাবনাময় একটি দেশ৷ বেসিস প্রধান মাহবুব জামানও এর সঙ্গে একমত৷ তবে তিনি বলছেন সস্তা শ্রমের পাশাপাশি পণ্যের গুনগত মানও একটা কারণ৷ তাঁর মতে, এখন পর্যন্ত যেসব কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে আউটসোর্সিং করিয়ে নিয়েছে তারা বাঙালি তরুণদের কাজে সন্তুষ্ট৷ তাই তারা বারবার বাংলাদেশেই ফিরে আসছে৷ যেমন ডেনমার্কের একটা বড় কোম্পানি গত পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশকেই কাজ দিচ্ছে বলে জানালেন জামান৷

আর পর্যাপ্ত জনশক্তির যে বিষয়টা গার্টনার বলছে সে ব্যাপারে বেসিস প্রধান জানালেন, ‘‘বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৬৫ ভাগের বয়স ২৫ এর নীচে৷ অর্থাৎ তারা তরুণ৷ এরাই তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভাল করে৷ সুতরাং এসব তরুণদের যদি ভালভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া যায় তাহলে আউটসোর্সিং থেকে বাংলাদেশ অনেক অর্থ আয় করতে পারবে৷''

বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৫০০ নিবন্ধিত আউটসোর্সিং কোম্পানি রয়েছে৷ যেখানে কাজ করেন প্রায় বিশ হাজার জন৷

কীভাবে তথ্য পাবেন

তবে শুধু কোম্পানিই নয়, ব্যক্তিগতভাবেও ইচ্ছে করলে যে কেউ আউটসোর্সিং এর কাজ করতে পারে৷ ইতিমধ্যে এ ধরণের একটা জনশক্তি দাঁড়িয়ে গেছে বাংলাদেশে৷ যারা এভাবে কাজ করেন তাদের বলা হয় ‘ফ্রিল্যান্সার'৷ জামানের হিসেবে বর্তমানে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার৷ এদের অর্ধেকই নিয়মিত আউটসোর্সিং এর কাজ করে থাকে বলে জানান তিনি৷ একেকজন ফ্রিল্যান্সার এ থেকে প্রতি মাসে বেশ ভাল একটা অর্থ আয় করতে পারে, যেটা দিয়ে পরিবারের খরচ চালিয়েও ভাল একটা অঙ্ক জমা করা যেতে পারে৷

এমনই একজন হলেন আব্দুল্লাহ আল জাহিদ - যাকে এবছরের সেরা ফ্রিল্যান্সার হিসেবে পুরস্কার দিয়েছে বেসিস৷ মাত্র ১৬ বছর বয়সি জাহিদ আউটসোর্সিং থেকে মাসে গড়ে আয় করছেন প্রায় ৭০ হাজার টাকা৷ ফলে এই বয়সেই তিনি তার পরিবারের প্রধান আয়ের উৎস হয়ে গেছেন৷

ফলে এখন মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, কীভাবে আপনিও আউটসোর্সিং করতে পারেন৷ আর এর জন্য কী যোগ্যতাই বা থাকা দরকার৷ এ ব্যাপারে বেসিস প্রধান জামান জানালেন, ফ্রিল্যান্সারদের প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে তাদের ওয়েবসাইটে একটি ফোরাম খোলা হয়েছে৷ যেখান থেকে আগ্রহী যে কেউ তথ্য পেতে পারে৷ তিনি বলছেন, ‘‘ফ্রিল্যান্সারদের যত প্রশ্ন আছে সেগুলোর উত্তর ফোরাম থেকে দেয়া শুরু হয়েছে৷''

সুতরাং বিস্তারিত তথ্য চাইলে চলে যান বেসিসের ওয়েবসাইটে৷ ঠিকানা www.basis.org.bd

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান