1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানে বন্যাত্রাণ ও ভারতে বস্তির প্রসার

১২ সেপ্টেম্বর ২০১০

পাকিস্তানে বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতির বিশ্লেষণ ও চমকপ্রদ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও ভারতের দরিদ্র মানুষের অবস্থা – জার্মান সংবাদ মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়া সংক্রান্ত নানা খবরাখবর৷

https://p.dw.com/p/PA97
flood, Pakistan, পাকিস্তান, বন্যা, ভারত, বস্তি, India, Slum
পাকিস্তানের বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতিছবি: DW

পাকিস্তানে বন্যাত্রাণের একটা চালচিত্র তুলে ধরেছে সাপ্তাহিক ‘ডি সাইট' পত্রিকা৷ উগ্রবাদী ইসলামি সংগঠন বন্যাকবলিত গ্রামে চাল বিতরণ করছে, চাষিরা জমি বাঁচাতে ব্যস্ত এবং রাষ্ট্রের মুণ্ডপাত করছে, শরণার্থী শিবিরে সামরিক অফিসারদের দাপট – এই খণ্ডচিত্র থেকে দেশের পরিস্থিতির রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে৷ সোয়াত উপত্যকায় গিয়ে লেখক নিজে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন৷ ঐ এলাকায় তালেবান বিদ্রোহীদের প্রভাব রুখতে ও নিজস্ব কর্তৃত্ব কায়েম করতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বেশ কিছুদিন ধরে সংগ্রাম চালিয়ে আসছে৷ তবে সাধারণ সৈন্যদের সঙ্গে কথা বলে লেখকের ধারণা হয়েছে, যে তাদের মধ্যে অনেকেই মনে করে যে শত্রুরা সীমান্ত পেরিয়ে আসে – সোয়াত উপত্যকায় উগ্রবাদের কোনো লক্ষণ নেই৷

বন্যাত্রাণে সেনাবাহিনীর সক্রিয় ভূমিকা সাধারণ মানুষকে মুগ্ধ করেছে৷ তাছাড়া বন্যা-বিধ্বস্ত এলাকায় লাশ উদ্ধার করা থেকে শুরু করে প্রাথমিক পুনর্গঠনের কাজেও তাদের তৎপরতা চোখে পড়ছে৷ অন্যদিকে মন্ত্রী সহ রাজনীতিকদের প্রতি সাধারণ মানুষের রোষের ঘটনাও কম নয়৷ এক শরণার্থী শিবিরে ক্ষুব্ধ জনতা এক মন্ত্রীর উপর চড়াও হয়েছে৷ এই অবস্থাকে অনেকে ‘রাজনৈতিক বন্যা' হিসেবেও তুলে ধরছে৷ ত্রাণ বণ্টনের ক্ষেত্রেও রাজনীতিকদের স্বজন-পোষণ তাদের ক্ষোভ আরও উস্কে দিয়েছে৷ এই পরিস্থিতির দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব সম্পর্কে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছে ‘ডি সাইট'৷

‘ভারতের প্রবৃদ্ধি আরও বস্তির সৃষ্টি করছে' – এই শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে ‘ফ্রাঙ্কফুর্টার আলগেমাইনে সাইটুং' সংবাদপত্রে৷ আগামী বছর প্রায় ৯ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ ভারতের শহরাঞ্চলে দরিদ্রদের বস্তিতে বসবাস করবে, যা জার্মানির মোট জনসংখ্যারও বেশি৷ শুধু তাই নয়, গত এক দশক ধরে অর্থনৈতিক উদারিকরণ প্রক্রিয়ার পাশাপাশি শহরাঞ্চলের বস্তি এলাকায় মানুষের সংখ্যা প্রায় ২৩ শতাংশ বেড়ে গেছে৷ অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৬ শতাংশ মানুষ বস্তি এলাকায় বসবাস করে৷ সেই সব বস্তির জমির দামও আজ আকাশছোঁয়া৷ ফলে উচ্ছেদের ঘটনাও কম নয়৷ চীনের মতো ভারতেও ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে ব্যবধান বেড়ে চলেছে৷ অর্থনৈতিক উন্নয়ন শহরকেন্দ্রিক হওয়ায় শ্রমিক ও কর্মীদের চাহিদা বাড়ছে৷ উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশায় গ্রাম থেকে শহরে পাড়ি জমাচ্ছে মানুষ, যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের আশা পূরণ হচ্ছে না৷ জার্মান পাঠকদের জন্য ভারতের বস্তি এলাকার ভয়ঙ্কর বাস্তব তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে৷ শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বেই শহরকেন্দ্রিক উন্নয়নের প্রবণতা ও আনুষঙ্গিক সমস্যার কথা তুলে ধরছে ‘ফ্রাঙ্কফুর্টার আলগেমাইনে সাইটুং'৷

সংকলন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ