নিউ ইয়র্ক এবং টরন্টো থেকে দুই নেত্রীর বাগযুদ্ধ
২৪ মে ২০১১বিরোধী নেত্রী তাঁর সুপরিচিত অবস্থানগুলোরই পুনরাবৃত্তি করেছেন, তা সে বিএনপি'র নির্বাচনে মাত্র ৩৫টি আসন পাওয়া নিয়েই হোক, মহাজোট সরকারের সামগ্রিক ব্যর্থতাই হোক, কি ‘ভারতের শৃঙ্খলে দেশকে আবদ্ধ' হতে দেওয়াই হোক৷ অন্যদিকে, ভোরের কাগজের ভাষায়: ‘খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে বাংলাদেশ গঠনের ইতিহাস, বাকশালী শাসনামল, এরশাদের ক্ষমতা দখল, এরশাদ বিরোধী আন্দোলন এবং বিএনপি'র শাসনামলে ‘গণতন্ত্রায়ন ও উন্নয়ন' এবং সবশেষে মইন-ফখরুদ্দীনের সঙ্গে চক্রান্ত করে দেশে সেমি-সামরিক শাসনের কথা উল্লেখ করেন৷'
যুদ্ধাপরাধী প্রসঙ্গে সরকারের প্রতি খালেদা জিয়ার দাবি, ‘নিজ দল ও সরকারের পরিবারে যেসব যুদ্ধাপরাধী রয়েছে তাদের ধরে দেখাতে হবে যে সত্যি সত্যি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে চান' - জানাচ্ছে দৈনিক জনকণ্ঠ৷ সমকাল, যুগান্তর ইত্যাদি পত্রিকা বিএনপি চেয়ারপার্সনের যে বক্তব্যটিকে গুরুত্ব দিয়েছে, সেটি হল, খায়রুল হক'কে কোনোভাবেই প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে মানবে না বিএনপি, কেননা তিনি, খালেদা জিয়ার ভাষায়, ‘দলীয় লোক'৷ এছাড়া দেশে ফিরে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিতে কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা তো আছেই৷
সমকাল জানাচ্ছে, জবাবে ক্যানাডার টরন্টো থেকে প্রধানমন্ত্রী বললেন, আন্দোলনের হুমকি দিয়ে লাভ নেই৷ কারো আন্দোলনের হুমকি-ধমকির কাছে মহাজোট সরকার মাথানত করবে না৷ আন্দোলনের দীর্ঘ পথপরিক্রমার নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের হুমকি দিয়ে লাভ হবে না৷ বিরোধী নেত্রীর প্রতি সরাসরি খোঁচাও ছিল প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে: বিদেশে এসে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে আন্তর্জাতিক জনমতকে যারা বিভ্রান্ত করতে চায়, তাদের ব্যাপারে দেশপ্রেমিক প্রতিটি প্রবাসীকে সোচ্চার হতে বলেছেন তিনি৷ বিএনপি'র বিরুদ্ধে তাঁর অপর অভিযোগ, ভোরের কাগজের ভাষায়: ‘তারা সংসদে জনগণের কথা বলতে আসেন না৷ কিন্তু সংসদীয় কমিটির বৈঠকে আর বিদেশে ভ্রমণের জন্য তদবির করতে আসেন৷'
গ্রন্থনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা