1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সন্ত্রাসী হামলার বর্ষপূর্তি

২২ জুলাই ২০১২

নরওয়ের সন্ত্রাসী আন্ডার্স বেরিং ব্রাইভিকের হাতে নিরীহ মানুষের হত্যাযজ্ঞের এক বছর পূর্তি হলো৷ দিনটি স্মরণে হাজার হাজার মানুষ সমবেত হন রাজধানী অসলোতে৷

https://p.dw.com/p/15d5E
Norway's King Harald (L) attends a wreath laying ceremony in front of the heavily damaged government building in Oslo July 22, 2012. Norway commemorates the victims one year after the twin Oslo-Utoeya massacre by self confessed killer Anders Breivik. REUTERS/Leonhard Foeger (NORWAY - Tags: POLITICS ROYALS ANNIVERSARY CIVIL UNREST)
ছবি: Reuters

রাজধানী অসলোর সেই সরকারি ভবনটি এখনও আগের মতো রয়ে গেছে যেটিতে গত বছরের ২২ জুলাই প্রথম বোমা হামলা চালিয়েছিলেন ব্রাইভিক৷ বোমার আঘাতের ক্ষতচিহ্ন সম্বলিত ভবনটির সামনে আজ সমবেত হন হাজার হাজার মানুষ৷ উপস্থিত ছিলেন নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী ইয়েন্স স্টলটেনব্যার্গ৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন নরওয়ের রাজা পঞ্চম হ্যারাল্ড৷ তাঁরা সকলে শ্রদ্ধা জানান সেদিনের নিহত ৭৭ জন মানুষের প্রতি৷ সমবেদনা প্রকাশ করেন হতাহতদের স্বজনদের জন্য৷ নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা জানানোর সময় সমবেতদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, সেদিন যে উদ্দেশ্যে ঘাতক হামলা চালিয়েছিলো সেটা ব্যর্থ হয়েছে৷ মানুষের জয় হয়েছে৷ এর আগে এক সাক্ষাৎকারে স্টলটেনব্যার্গ বলেছিলেন, ‘‘২২ জুলাইয়ের হামলার মূল লক্ষ্য ছিলো আমাদের উদার ও গণতান্ত্রিক সমাজ৷ তাই এই সন্ত্রাসী হামলার জবাব হলো আরও উদারতা এবং গণতন্ত্র৷ আমি মনে করি সেটা আমরা করতে পেরেছি৷ এখন আরও মানুষ রাজনৈতিক বিতর্কে অংশ নিচ্ছে৷ হাজার হাজার মানুষ রাজনৈতিক দল, যুব সংগঠনে যোগ দিয়েছে৷''

উল্লেখ্য, গত বছরের ২২ জুলাই ব্রাইভিকের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় কেবল নরওয়ের ৫০ লাখ মানুষই স্তব্ধ হয়ে পড়েনি, হতবিহ্বল হয়ে পড়ে গোটা বিশ্ব৷ সেদিন প্রথম অসলোর সরকারি ভবনে বোমা হামলা চালান ব্রাইভিক৷ এতে নিহত হয় আট জন মানুষ৷ নিরাপত্তা বাহিনীর চোখ এড়িয়ে এরপর তিনি যান পাশের উটোয়া দ্বীপে যেখানে চলছিলো যুব সংগঠনের কর্মসূচি৷ ঠান্ডা মাথায় একের পর এক মানুষকে গুলি করে মারতে শুরু করেন তিনি৷ নারী-পুরুষ, শিশু-তরুণ কোন বাছ বিচার না করেই হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যান৷ মোট ৬৯ জন প্রাণ হারায় তার গুলিতে৷ নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরও কোন বিকার দেখা যায়নি তার মধ্যে৷

এই হত্যাযজ্ঞের আগে ইন্টারনেটে এক ঘোষণাপত্রে নিজের আদর্শের কথা প্রচার করেন আন্ডার্স বেরিং ব্রাইভিক৷ তাতে উগ্র খ্রিষ্টীয় মতবাদের পাশাপাশি ইউরোপে মুসলমান অভিবাসীদের রুখে দাঁড়ানোর কথা বলেন তিনি৷ ধরা পড়ার পরও নিজের অপকর্ম নিয়ে এতটুকু বিচলিত নন তিনি৷ বরং এখন পর্যন্ত নিজের পক্ষেই সাফাই গেয়ে যাচ্ছেন তিনি৷ উল্লেখ্য, আগামী ২৪ আগস্ট আদালত তার বিচারের রায় ঘোষণা করবে৷

আরআই/এএইচ (রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য