1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বড় ধাক্কা খেলেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল

২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

আজকের নির্বাচনের দিনটি জার্মানির জন্য বিশাল পরিবর্তনের দিন৷ দক্ষিণপন্থি পপুলিস্ট এক দল এই প্রথম জার্মান সংসদে প্রবেশ করলো৷ ডয়চে ভেলের প্রধান সম্পাদক মনে করেন, আঙ্গেলা ম্যার্কেল বড় ঘা খেয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/2kd4Q
জার্মান নির্বাচনের ফলাফলের পূর্বাভাষ
ছবি: Getty Images/AFP/T. Schwarz

এই নির্বাচন এক স্পষ্ট বার্তা বহন করছে৷ সবকিছু আর আগের মতন চলবে না৷ এবং এই নির্বাচনে দুই শিবিরের স্পষ্ট পরাজয় ঘটেছে৷ এসপিডি দল ২০ শতাংশের মতো ভোট পেয়ে ঐতিহাসিক বিপর্যয়ের মুখ দেখেছে৷ অন্যদিকে চ্যান্সেলরের নিজের দল প্রায় ৮ শতাংশ সমর্থন হারিয়েছে৷ এমন ভূমিকম্প ঘটলে সাধারণ অবস্থায় নেতাদের পদত্যাগের প্রসঙ্গ উঠে আসে৷ কিন্তু জার্মানির জন্য এটা মোটেই স্বাভাবিক সময় নয়৷ প্রায় ১৩ শতাংশ ভোট পেয়ে এএফডি দল যেভাবে সংসদে প্রবেশ করলো, সেটাই শুধু অস্বাভাবিক বিষয় নয়৷ ফেডারেল জার্মান প্রজাতন্ত্র পত্তনের পর এই প্রথম কোনো দক্ষিণপন্থি পপুলিস্ট দল জার্মান সংসদে পা রাখছে৷

ডয়চে ভেলের প্রধান সম্পাদক ইনেস পোল
ডয়চে ভেলের প্রধান সম্পাদক ইনেস পোলছবি: DW/P. Böll

দেশটা বদলে গেছে

এ এক ঐতিহাসিক পরিবর্তনের সময়৷ আজকের নির্বাচনের দিনটি জার্মানির জন্য বিশাল পরিবর্তনের দিন৷ এটা কোনো হীনম্মন্যতার বিষয় নয়, একে সাক্ষাৎ বিপর্যয় বলা চলে৷ এটা একটা চ্যালেঞ্জ৷ সবার শেষে বলতে হয়, এটাই হলো গণতন্ত্র৷ গোটা বিশ্বের সঙ্গে তুলনা করলে এটা বিশ্বাস করে নেওয়া যায়, যে জার্মানি এই পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে৷ সংসদে আবার সেরা যুক্তি-তর্ক নিয়ে বাকবিতণ্ডা হবে, যা বেশ ইতিবাচক প্রবণতা হতে পারে৷ প্রকৃত বিরোধিতার অভাবে এক শক্তিশালী চ্যান্সেলর ইচ্ছামতো দেশ শাসন করে যাবেন, এমনটা আর সম্ভব হবে না৷ আজ সন্ধ্যায় এটাও একটা বার্তা বটে৷

তবে সেই পরিস্থিতি সম্ভব করতে হলে গণতান্ত্রিক দলগুলিকে এএফডি দলের জনমোহিনী বিতর্কের জালে জড়িয়ে পড়লে চলবে না৷ বিভিন্ন সমস্যার চটজলদি পপুলিস্ট সমাধানসূত্রের মোকাবিলা করে তাদের সে সম্পর্কে প্রকৃত জবাব দিতে হবে৷ শরণার্থীরা এসে তাদের দেশ বদলে দিতে পারে বলে অসংখ্য মানুষের মনে আজ যে ভয় জন্মেছে, সেই আবেগকেও অবশেষে গুরুত্ব দিতে হবে৷ জার্মানিকে এমন সব বিষয় নিয়ে তর্ক-বিতর্কের ক্ষমতা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে হবে৷ মানুষের ভয়কে গুরুত্ব না দিয়ে তাকে ‘ট্যাবু' বা নিষিদ্ধ বিষয় করে তুললে চরম রাজনৈতিক শক্তির পালে বাতাস দেওয়া হয়৷

এটাও এবারের নির্বাচনের এক বার্তা৷

এসপিডি বিরোধী আসনে বসছে

এই অবস্থায় সরকার গঠন করা হবে প্রথম চ্যালেঞ্জ৷ এসপিডি দল যেভাবে প্রথমেই স্পষ্ট করে দিয়েছে, যে তারা বিরোধী আসনে বসবে, তা অত্যন্ত বিচক্ষণতার পরিচয়৷ একমাত্র এভাবেই এই দল নিজেদের নতুন করে আবিষ্কার করতে পারবে এবং ভবিষ্যতে ক্ষমতায় আসার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করে তুলতে পারবে৷ তাছাড়া এর ফলে এএফডি সংসদে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা ভোগ করতে পারবে না৷ এমন বড় ধাক্কা খেয়ে আঙ্গেলা ম্যার্কেলকে জোট গড়তে জটিল আলোচনার পথে এগোতে হবে৷ নিজের শিবিরেই অনেকে সরাসরি তাঁকে এবং তাঁর শরণার্থী নীতিকে দলের বিপর্যয়ের জন্য দায়ী করায় তাঁকে সেই বোঝাও বহন করতে হবে৷ অন্যদিকে তাঁর প্রতি গোটা বিশ্বের প্রত্যাশা এই, যে নির্বাচনের এই ফলাফল সত্ত্বেও তিনি পশ্চিমা জগতের অন্যতম শীর্ষ নেতা হিসেবে থেকে যাবেন এবং তাঁর সঙ্গে জার্মানি আন্তর্জাতিক মঞ্চে স্থিতিশীল ও আস্থাভাজন সহযোগী থেকে যাবে৷ এমন এক মুক্ত জার্মানি, যেখানে গণতন্ত্রের শিকড় অত্যন্ত গভীর৷

জার্মানির সংবিধানই সেই বার্তা বহন করে৷ এএফডি-সহ সবার জন্যই সেই বার্তা খাটে – ‘মানুষের মর্যাদা অলঙ্ঘনীয়'৷

ইনেস পোল/এসবি

ডয়চে ভেলের প্রধান সম্পাদকের বক্তব্য আপনার কেমন লাগলো? লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য