1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংসদে চরম দক্ষিণপন্থিরা এলো কী করে!

২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ব্রেক্সিট ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনের পর ইউরোপের নির্বাচনে চরম দক্ষিণপন্থিদের সাফল্য থমকে গিয়েছিল৷ জার্মানিতে এএফডি দলের অভাবনীয় সাফল্যের পর পপুলিস্ট শিবিরে উল্লাস দেখা যাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/2kcfU
Bundestagswahl 2017 | AfD Symbolbild
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Stratenschulte

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম একটি চরম দক্ষিণপন্থি দল জার্মানির সংসদে প্রবেশ করলো৷ শুধু ‘পপুলিস্ট' ও ইউরোপ-বিরোধী হিসেবে এএফডি বা ‘জার্মানির জন্য বিকল্প' দল যাত্রা শুরু করলেও নির্বাচনি প্রচারে দলের নেতারা বর্ণবাদী, ফ্যাসিবাদী ও বিদেশি-বিদ্বেষী মন্তব্য করেজার্মানির রাজনৈতিক আঙিনায় গভীর অস্বস্তি সৃষ্টি করেছে৷

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগের কালো অধ্যায়ের পর জার্মানিতে কীভাবে এমন এক দল এই মাত্রায় সাফল্য পেল? বিশেষ করে এমন এক সময়ে, যখন দেশের অর্থনীতির অবস্থা অত্যন্ত ইতিবাচক এবং বেকারত্বের হার খুবই কম৷ অর্থাৎ ইউরোপের বাকি দেশের তুলনায় জার্মানির পরিস্থিতি অত্যন্ত উজ্জ্বল৷ এমনকি ২০১৫ সালে শরণার্থীর ঢল নামার ফলে যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছিল, গত ২ বছরে সরকার তা নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে৷ তা সত্ত্বেও এমন অসন্তোষ কেন?

এমন প্রেক্ষাপটে জার্মান নির্বাচনে সম্ভবত ১৩ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়ে সংসদে তৃতীয় শক্তি হয়ে ওঠার পর তাই প্রশ্ন উঠছে, কারা এই দলের প্রতি এমন সমর্থন দেখিয়েছেন এবং তাদের এই ব়্যাডিকাল সিদ্ধান্তের পেছনে কারণ কী?

অনেক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকের মতে, এএফডি-র উত্থান ঠেকাতে মূল স্রোতের রাজনৈতিক দলগুলি সঠিক কৌশল গ্রহণ করেনি৷ এএফডি-র সম্ভাব্য সমর্থকদের মন বুঝে তাদের দলে টানতে ব্যর্থ হয়েছে তারা৷ জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল অনেক মানুষও এই দলকে ভোট দিয়েছে৷ তাদের মধ্যে একটি বড় অংশ বাকি দলগুলির প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে এই দলকে ভোট দিয়েছে৷ অর্থাৎ এএফডি-র কর্মসূচির প্রতি তাদের আনুগত্য ছিল না৷

যে সব ভোটার এএফডি-র কর্মসূচিকে আকর্ষণীয় মনে করেছেন, তাদের সিদ্ধান্তের পেছনে কারণ কী ছিল? শিক্ষা, কর্মসংস্থান, অবসর ভাতা, পরিবেশ ও ডিজিটাল রূপান্তরের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এএফডি দলের স্পষ্ট অবস্থান নেই৷ শরণার্থী ও অভিবাসীদের কারণে জার্মানির ‘মূল সংস্কৃতি'-র অবক্ষয়, ইসলাম-বিরোধিতা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের মতো বিভাজনমূলক বিষয়কে হাতিয়ার করে তারা এই সাফল্য দেখিয়েছে৷ অর্থাৎ এই সব বিষয়গুলি অনেক মানুষের কাছেই গুরুত্ব পেয়েছে৷ বিশ্বায়ন থেকে শুরু করে বহু জাতি-ধর্ম-বর্ণের সমন্বয় নিয়ে তাদের মনে সংশয় রয়েছে৷ মূল স্রোতের রাজনৈতিক দলগুলির কাছে এই সব প্রশ্নের জবাব পায়নি এই সব মানুষ৷ সেই শূন্যতা পূরণ করতে সফল হয়েছে এএফডি৷ দুই প্রধান দলের মহাজোট সরকার সেই পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তুলেছে৷

সংসদে এএফডি দলের শক্তিশালী উপস্থিতি আগামী চার বছরের জন্য বাকি দলগুলির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে৷ প্ররোচনা সত্ত্বেও গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে থেকে এই দলকে কোণঠাসা করা তাদের জন্য সম্পূর্ণ নতুন এক অভিজ্ঞতা হতে চলেছে৷

আগামী চার বছরে এএফডি বনাম বাকি দলগুলির সংঘাতের ফলাফল কোনো পথে এগোয়, সে দিকে লক্ষ্য রাখবে জার্মানি সহ গোটা বিশ্বের মানুষ৷

বন্ধু, জার্মান নির্বাচন নিয়ে আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য