টেনিসে ম্যাচ ফিক্সিং-এর অভিযোগ
১৮ জানুয়ারি ২০১৬সোমবার এই তথ্য নিজেই সাংবাদিকদের জানালেন জকোভিচ৷ টেনিস বিশ্বে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের প্রতিক্রিয়ায় এ কথা জানান জকোভিচ৷ অবশ্য বাজিকররা সরাসরি তাঁকে এই প্রস্তাব দেননি বলেও জানান তিনি৷
বিবিসি ও বাজফিড-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে যে, গত ১০ বছরে ১৬ জন খেলোয়াড় ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে সন্দেহ করা হলেও তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি৷ এই ১৬ জন খেলোয়াড় ব়্যাংকিংয়ে সেরা ৫০-এর মধ্যে ছিলেন৷ এর মধ্যে গ্র্যান্ড স্ল্যাম বিজয়ীও রয়েছেন৷ অবশ্য তাঁদের নাম প্রকাশ করা হয়নি৷
২০০৭ সালে সন্দেহজনক একটি ম্যাচ নিয়ে করা তদন্ত প্রতিবেদনের বিবরণ ঐ গণমাধ্যমগুলোর কাছে আছে বলে দাবি করা হয়েছে৷ এই বিবরণে রাশিয়া ও ইটালিতে থাকা বাজিকর সিন্ডিকেট সম্পর্কে তথ্য রয়েছে৷ ম্যাচ পাতানোর মাধ্যমে তাঁরা বেটিং থেকে লক্ষ লক্ষ ডলার আয় করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷
বিবিসি ও বাজফিডের প্রতিবেদনে সন্দেহজনক ঐ ১৬ খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত না করায় ‘টেনিস ইন্টেগ্রিটি ইউনিট' (টিআইইউ)-এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে৷ টেনিস খেলায় দুর্নীতি প্রতিরোধে এই সংস্থাটি গড়ে তোলা হয়েছে৷
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন টেনিস সংক্রান্ত কর্মকর্তারা৷ পুরুষদের টেনিস প্রতিযোগিতা কর্তৃপক্ষের প্রধান ক্রিস কার্মোড জানিয়েছেন, ‘‘ম্যাচ পাতানোর প্রমাণ চেপে রাখার যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করছে টিআইইউ ও টেনিস কর্তৃপক্ষ৷'' ২০০৮ সালে গঠিত হওয়ার পর থেকে ছয়জনকে আজীবন নিষিদ্ধ করা সহ টিআইইউ-র আনা মোট ১৮টি অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে, বলেও জানান কার্মোড৷
টেনিস তারকা রজার ফেডেরার বলেন, প্রতিবেদনের গুরুত্ব অনুধাবন করা শক্ত৷ তবে এর ফলে যে বিষয়টি ভালো হলো তা হচ্ছে, এখন বাজির বিষয়টি আলোচিত হবে৷ ফলে বাজিকররা সমস্যা পড়বে৷
এর আগে ক্রিকেট, অ্যাথলেটিক্স ও ফুটবলেও ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে৷
জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ)