1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কীর্তি গড়তেই চান ল্যোভ

৩ জুন ২০১৮

‘ভবিষ্যৎদ্রষ্টা, যোগাযোগের কেন্দ্র ও জনসংযোগকারী' – এভাবেই নিজের কাজকে একবাক্যে ব্যাখ্যা করেন জার্মান জাতীয় দলের কোচ ইওয়াখিম ল্যোভ৷ ইটালি ও ব্রাজিলের পর তাঁর সামনেই এখন পরপর দু'বার বিশ্বজয়ের হাতছানি৷

https://p.dw.com/p/2yoLP
WM 2018 - Deutschland - Joachim Löw
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Woitas

একে একে বারো বছর কেটে গেছে৷ প্রায় যতটা সময় আঙ্গেলা ম্যার্কেল জার্মানির চ্যান্সেলর, ততটা সময়ই তিনি দেশটির জাতীয় দলের কোচ৷ সেই চুক্তি আরো বেড়েছে৷ এই বিশ্বকাপের পরের বিশ্বকাপ অর্থাৎ ২০২২ সাল পর্যন্ত কাগজে কলমে অন্তত তিনি দলের সবচেয়ে গুরুদায়িত্ব পালন করবেন৷

এরই মধ্যে দেশের কাছ থেকে পেয়েছেন ফেডারেল ক্রস অফ মেরিট-এর সম্মান৷ জিতেছেন ফিফার বর্ষসেরা কোচের উপাধি৷ দু'বার জিতেছেন বিশ্বের সেরা জাতীয় কোচের পুরস্কার৷ তাই তাঁকে এবার এগিয়েই যেতে হবে, কারণ নতুন কিছু পাবার জন্য নয়৷ বরং কিছু যেন হারাতে না হয় সেইজন্যে৷ 

আশায় বুক বেঁধেছেন জার্মানির সেরা গোলরক্ষক

‘সম্ভাবনাময় দল'

‘‘২০১৪ সালের বিশ্বকাপ একটি অর্জন ছিল, কিন্তু মাইলফলক নয়'', বলেন এই ৫৮ বছর বয়সি৷ কারণ, এই একটি অর্জনই সব নয়৷ তিনি তাই অর্জন করতে চান যা এর আগে কেবল ইটালির কোচ ভিটোরিও পোৎসোই অর্জন করতে পেরেছিলেন৷ তা হলো, কোচ হিসেবে দলকে পরপর দু'বার বিশ্বকাপ জেতানোর গৌরব অর্জন৷

ডয়চে ভেলেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘সর্বোচ্চ সাফল্য অর্জন সহজ কথা নয়৷ প্রচুর পরিশ্রম দরকার৷''

‘‘আপনি যখন সাফল্য পেতেই থাকেন, তখন আপনি কিছুটা খেই হারিয়ে ফেলতে পারেন৷ এমনকি সাফল্য পাওয়ার ক্ষুধাও আপনার মধ্যে কমে যেতে পারে৷ পড়তে বেশি সময় লাগে না৷''

ল্যোভ মনে করেন তাঁর দলের এখনো অনেক সম্ভাবনা রয়েছে৷ তাঁর কথায়, ‘‘আমি তো দলে প্রচুর সম্ভাবনা দেখি৷ এদের সঙ্গে কাজ করতে এবং আরো দক্ষ করে গড়ে তুলতে আমি খুব উদ্দীপ্ত বোধ করি৷''

জাতীয় দলের কোচ হিসেবে তিনি স্বস্তি পান৷ কারণ, ক্লাব ফুটবলের প্রতি সপ্তাহের চাপ তাঁকে নিতে হয় না৷ ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ বা বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তেই শুধু চাপ থাকে৷ তার আগে তিনি মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করে এগোতে থাকেন৷

‘‘আমরা সবসময়ই উদাহরণ তৈরি করতে চাই৷ তাই আমাদের চোখ ভবিষ্যতের দিকে৷ মাঝে মাঝে এমন সব পরিকল্পনা মাথায় আসে, যা এখন পাগলের প্রলাপ বলে মনে হতে পারে৷ তবে আমরা জানি যে, একদিন সেটিই করব৷''

তাহলে কি রাশিয়া বিশ্বকাপেও তেমন ‘বিশেষ' কোনো কৌশল নিয়ে এগোচ্ছেন তিনি? হতেও পারে৷ তবে দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স কিন্তু কিছুটা হতাশাব্যঞ্জক৷ বিশ্বকাপের দাবিদার চার দল ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, স্পেন ও ব্রাজিলের বিপক্ষে ভালো করতে পারেনি তারা৷ তিনটি ড্র ও একটি পরাজয়৷ তবে হতাশ হলে চলবে না৷

সবাই জানে যে, জার্মানি হলো টুর্নামেন্টের দল৷ সেখানেই তারা ভালো করে৷

ল্যোভ এই বিশ্বকাপের পরিকল্পনা হাতে নিয়ে বসেছেন অন্তত দু'বছর আগে৷ ‘‘পরিকল্পনা ছাড়া সাফল্য আসবে না৷ পরিষ্কার ধারণা নিয়ে পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে গেলেই কেবল অনেক দূর পৌঁছানো সম্ভব৷'' ল্যোভ বলেন ডিডাব্লিউকে৷

তিনি বোঝেন, ব্যর্থতার জন্য খুব কম সুযোগই ছাড়তে হবে৷ তবে শেষতক ভাগ্যকেও সুপ্রসন্ন হতে হবে৷ তাই ‘ফিঙ্গার ক্রস্ড'৷

সারাহ ভিয়ার্ৎস/জেডএ

আপনার প্রিয় দল কোনটি? জানান আমাদের, লিখুন নীচের ঘরে৷