৫০ জন উত্তর কোরীয়কে ফেরত পাঠাবে মালয়েশিয়া
১৪ মার্চ ২০১৭গত ১৩ ফেব্রুয়ারি উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং-উনের সৎভাই কিম জং-নাম মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে নিহত হন৷ কুয়ালা লামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে৷ সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী, দুই নারীকে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত বলে সন্দেহ করা হয়৷ দু'জনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ নারী দু'জনের একজন ইন্দোনেশীয় ও অন্যজন ভিয়েতনামি৷
দক্ষিণ কোরিয়ার গুপ্তচর সংস্থা হত্যাকাণ্ডের জন্য প্রাথমিকভাবে উত্তর কোরিয়ার দিকেই সন্দেহের আঙুল তুলেছিল৷ তবে মালয়েশিয়ার পুলিশ এখনো সরাসরি তেমন কোনো ইঙ্গিত দেয়নি৷ তবে কিম জং-নামের মুখ ও চোখ থেকে নেওয়া সোয়াবে ভিএক্স স্নায়ুর বিষের নমুনা পাওয়া যাওয়ার কথা জানিয়েছেন তারা৷ পুলিশ মনে করে, কিমকে হত্যার ব্যাপারে ওই দুই নারীর সঙ্গে এক উত্তর কোরীয় পুরুষও জড়িতে থাকতে পারেন৷ সে কারণে ওই উত্তর কোরীয়কেও আটক করা হয়েছে৷ এছাড়া আরো সাতজনের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছে মালয়েশিয়ার গোয়েন্দারা৷ তাদের মধ্যে চারজন হত্যাকাণ্ডের পরই পিয়ংইয়াংয়ে পালিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছিল৷
তবে মালয়েশিয়ার পুলিশ বলছে, সন্দেহভাজনদের দু'জন অন্তত এখনো মালয়েশিয়াতেই আছেন৷ তারা এখনো কুয়ালালামপুরের উত্তর কোরীয় দূতাবাসে আত্মগোপন করে আছেন – এই সন্দেহে দূতাবাস ঘিরে রেখেছে পুলিশ৷ এক সময় আত্মগোপন করা ব্যক্তিরা বেরিয়ে আসতে বাধ্য হবে এবং তখন তাদের আটক করা হবে – এই পরিকল্পনা নিয়েই অপেক্ষা করছে পুলিশ৷
মূলত সেখান থেকেই দু' দেশের উত্তেজনার সূত্রপাত৷ মালয়েশিয়া যদিও হত্যাকাণ্ডে উত্তর কোরিয়ার জড়িত থাকার কথা এখনো বলেনি, তারপরও পিয়ংইয়ং মনে করছে, সে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করছে মালয়েশিয়া৷ বিবদমান দেশ দু'টি ইতিমধ্যে পরস্পরের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করেছে৷ পিয়ংইয়ংয়ের মালয়েশিয়া দূতাবাসের তিন কর্মী এবং তাদের পরিবারের ছয় সদস্যকে দেশে ফিরতে দেয়নি উত্তর কোরিয়া৷ এর বাইরে সব মালয়েশীয় নাগরিকের ওপরও সীমান্ত অতিক্রমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটি৷ পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে মালয়েশিয়াও কুয়ালালামপুর থেকে কোনো উত্তর কোরীয় কূটনীতিককে দেশে ফিরতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ মঙ্গলবারের ঘোষণাটি অবশ্য অন্যরকম৷ এদিন মালয়েশিয়ার উপ প্রধানমন্ত্রী আহমাদ জাহিদ হামিদি জানান, বোর্নিও দ্বীপে কর্মরত ৫০ জন উত্তর কোরীয় কর্মীকে শিঘ্রই ফেরত পাঠানো হবে৷ তিনি জানান, ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও কাজ করছেন বলেই ফেরত পাঠানো হবে তাঁদের৷
এসিবি/ডিজি (রয়টার্স, এপি, এএফপি)