হরতালে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, ঈদের পরে কঠোর আন্দোলন
১৪ নভেম্বর ২০১০ঈদের পর আরো কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচী নেওয়ার কথা বলেছেন বিএনপি মহাসচিব৷অন্যদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, আপিল বিভাগ খালেদার পক্ষে রায় দিলে তাঁকে বাড়ি ফিরিয়ে দেয়া হবে৷
রোববার সকাল থেকেই রাজধানীতে হরতালের সমর্থনে বিভিন্ন পয়েন্টে পিকেটিং করতে থাকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা৷ নয়াপল্টন, পুরানা পল্টন, শাহবাগ , মহাখালী, গুলশান এবং মিরপুর এলাকায় ছিল পিকেটারদের উপস্থিতি৷ নয়াপল্টন, প্রেসক্লাব এবং কাকলী এলাকায় পুলিশের সঙ্গে পিকেটারদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়৷
হরতালের কারণে রাজধানীতে যানবাহন চলাচল ছিল খুবই কম৷ তাই সকালে অফিসগামী যাত্রীদের পড়তে হয় ভোগান্তিতে৷ ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরাও ভোগান্তির শিকার হন৷ অনেকে টিকিট কেটে কষ্ট করে ষ্টেশনে গিয়ে দেখেন দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ৷
হরতালের কারনে অফিস আদালত ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে উপস্থিতি ছিল কম৷ দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তেমন খোলেনি৷ ঈদের আগে ব্যাংকে টাকা তুলতে গিয়ে লোকজন পড়েন বিড়ম্বনায়৷
হরতালে পল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনে মিছিলের সময় পুলিশ হামলা চালিয়েছে এমন অভিযোগ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান৷ আর মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার বলেন, স্বত:স্ফূর্ত ভাবে হরতাল পালন করে দেশের মানুষ এই সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছেন৷
অন্যদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল মহবুবে আলম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আপিল বিভাগের রায় খালেদা জিয়ার পক্ষে গেলে তাঁকে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি ফেরত দেয়া হবে৷ তাঁর উচিত ভালভাবে মামলা লড়া৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়