সহিংসতাপূর্ণ ছবি, ভিডিও
২৪ অক্টোবর ২০১৩সিরিয়ায় সহিংসতা, সন্ত্রাসী হামলা, নারীর উপর নির্যাতন এসব ইস্যুতে প্রায়ই বেশ কিছু লিংক ও লেখা দেখা যায় ফেসবুক ওয়ালে, অনেকেই যা শেয়ার করেন৷ এসব প্রতিবেদনে বেশ কিছু রক্তাক্ত ও ভয়াবহ ছবি থাকে, যা মানুষের উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করে৷
তাই মঙ্গলবার রাতে ফেসবুক এমন বেশ কিছু ছবি ওয়াল থেকে মুছে ফেলেছে, যা আগে কখনো করেনি৷ এখন থেকে এ ধরনের ছবি বা ভিডিও পোস্ট করা হলে, প্রথমে ফেসবুক ব্যবহারকারীকে সতর্ক করা হবে, তারপর এটি ওয়াল থেকে সরিয়ে দেবে ফেসবুক৷
এএফপিকে ইমেলের মাধ্যমে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মানুষ সাধারণত যেসব ইস্যু তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ও সচেতনতামূলক মনে করে সেগুলো শেয়ার করে৷ কখনো কখনো সেগুলোতে মানবাধিকার লঙ্ঘন, সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং নির্যাতনের গ্রাফিকাল ও ভিডিও ছবি থাকে৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানুষ নিন্দা জানাতে এসব ভিডিও বা ছবি আপলোড করে বলে জানায় ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক কোম্পানিটি৷ কিন্তু যদি কোনো ব্যক্তি এটিকে আনন্দ বা উদযাপনের অংশ হিসেবে আপলোড করে তবে ফেসবুক তা মুছে দেবে৷
নগ্নতা সংক্রান্ত ছবি বা ভিডিওর উপর ফেসবুক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও সহিংস ছবির উপর কেন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে না - এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি৷ মঙ্গলবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ফেসবুকের এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে দায়িত্বহীন উল্লেখ করে বলেছেন, তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য বাবা-মা উদ্বিগ্ন৷ সন্তানরা কোনোরকম মানসিক চাপের শিকার হলে এরজন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে তাদের কাছে জবাবদিহি করতে হবে৷
এত সমালোচনার পরও ফেসবুক তাদের নীতিতে কোনো পরিবর্তন আনছে না, তবে এসব ক্ষেত্রে তারা এখন থেকে কঠোর হবে বলে জানিয়েছে৷ গ্রাফিকাল এসব ফুটেজ ফেসবুক ব্যবহারকারীদের দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে রাখে এমন অভিযোগের পর চলতি বছরের মে মাসে এসব ছবি ও ফুটেজ আপলোডের উপর সাময়িকভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল৷
এখন থেকে ফেসবুক খেয়াল রাখবে যেসব ভিডিও ও স্থিরচিত্র দেয়া হচ্ছে সেগুলো দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে কিনা৷ ফেসবুক মানদণ্ড অনুযায়ী সাম্প্রতিক প্রতিবেদনগুলো পুনরায় পরীক্ষা নিরীক্ষা করে গ্রাফিক কনটেন্ট দেখে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে, বেশ কিছু ছবি আপলোড করা ঠিক হয়নি এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে এগুলো সহিংসতাকে উস্কে দিয়েছে৷ এ কারণেই তারা এসব ভিডিও ও ছবি ফেসবুক থেকে মুছে ফেলেছে৷
এপিবি/জেডএইচ (এএফপি)