1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে

হেনরিক ব্যোম/এআই১৪ জানুয়ারি ২০১৪

শিল্প কারখানার উৎপাদন প্রক্রিয়ায় এখন যুক্ত হচ্ছে ডিজিটাল নেটওয়ার্কভুক্ত বিভিন্ন মেশিন৷ যা উৎপাদন প্রক্রিয়াকে আরো নিঁখুত এবং সাশ্রয়ী করছে৷ কারখানায় প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে আরো এক শিল্প বিপ্লব কি আসন্ন?

https://p.dw.com/p/1Apq8
PR Motiv Firma Weidmüller EINSCHRÄNKUNG
ছবি: Weidmüller

জার্মানির অধিকাংশ কোম্পানি এখন তাদের কর্মপরিকল্পনায় কারখানায় ‘স্মার্ট ফ্যাক্টরি' বা ‘ইন্ডাস্ট্রি ৪.০' ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনা করছে৷ প্রচলিত শিল্প কারখানাগুলোকে আধুনিকায়নের উদ্দেশ্যে জার্মান সরকারের নেয়া প্রকল্পের নাম ‘ইন্ডাস্ট্রি ৪.০'৷ এই প্রকল্পের আওতায় শিল্প কারখানাগুলিতে নতুন প্রযুক্তির কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন মেশিন ব্যবহারের দিকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে, যেগুলো অনলাইন নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত থাকবে৷ বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছে, জার্মান সরকারের এই প্রকল্প আগামী দশ থেকে বিশ বছরের মধ্যে শিল্প খাতে চতুর্থ বিপ্লব বয়ে আনবে৷

Indien Handy Smartphone Nutzung
শুধু শিল্প কারখানাগুলোতেই নয়, নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যেওছবি: Indranil Mukherjee/AFP/Getty Images

পরামর্শক সংস্থা ‘প্রাইসওয়াটারহাউস কপার্স' বা পিডাব্লিউসি-এর এক সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, পণ্য উৎপাদন খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত জার্মান কোম্পানিগুলো তাদের কারখানায় ‘ইন্ডাস্ট্রি ৪.০' মডেল প্রয়োগে আগ্রহী৷ তবে বাস্তবে কার্যক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত মাত্র এক-পশ্চমাংশ কোম্পানি পণ্য উৎপাদনে হালনাগাদ প্রযুক্তি ব্যবহার করছে৷

পিডাব্লিউসি-র মিশায়েল রাশ এই বিষয়ে বলেন, ‘‘জরিপে সাড়া দেওয়া প্রায় অর্ধেক কোম্পানি তথাকথিত স্মার্ট ফ্যাক্টরি স্থাপনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে৷'' রাশ জানান, আরেকটি মজার বিষয় হচ্ছে ‘স্মার্ট ফ্যাক্টরি' স্থাপনে এক বছরেরও কম সময় লাগে, যদিও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান ক্রান্তিকালের সময় আরো বেশি বলে ধরে নেয়৷

স্মার্ট অর্থ হচ্ছে সংযু্ক্ত – জার্মান উৎপাদকরা প্রযুক্তির এই পরিবর্তিত ধারার সঙ্গে পরিচিত হলেও সর্বক্ষেত্রে তা এখনো বিস্তৃতি লাভ করেনি৷ জার্মানির আমব্যার্গে অবস্থিত সিমেন্সের কারখানায় গত কয়েক বছর ধরেই পণ্য উৎপাদনে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে৷ এই বিষয়ে সিমেন্সের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সিগফ্রিড রুসভুর্ম জানান, নেটওয়ার্কভুক্ত ডিজিটাল উৎপাদন পদ্ধতি সামগ্রিকভাবে কারখানার উৎপাদন বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম৷

কারখানায় ব্যবহৃত নতুন প্রযুক্তিতে ত্রুটির পরিমাণও অনেক কম৷ রুসভুর্ম বলেন, ‘‘মেশিনে তৈরি প্রতি দশ লাখ পণ্যের মধ্যে মাত্র ১২টিতে ত্রুটি ধরা পড়ছে৷ আরেকটি বড় সুবিধা হচ্ছে, এই পদ্ধতিতে খুব দ্রুত বাজারে পণ্য সরবরাহ করা যায়৷ গতানুগতিক পদ্ধতিতে নতুন পণ্য তৈরিতে যে সময় লাগে তার অর্ধেক সময়ের মধ্যে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পণ্য সরবরাহ সম্ভব৷''

তবে নতুন প্রযুক্তি এবং সবকিছু এক নেটওয়ার্কের নিয়ে আসার সঙ্গে ‘তথ্য সুরক্ষা'-র বিষয়টিও সম্পৃক্ত৷ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য সম্পর্কে গোপনীয়তা বজায় রাখতে চায়৷ কিন্তু ডিজিটাল নেটওয়ার্কের থেকে তথ্য চুরির আশঙ্কা থেকে যায়৷ তাছাড়া ‘স্মার্ট ফ্যাক্টরির' সবার জন্য প্রযোজ্য মডেলও এখনো তৈরি হয়নি৷ আর জার্মানি এক্ষেত্রে বেশ এগিয়ে থাকলেও অন্যান্য দেশ এখনো পিছিয়ে রয়েছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য