মুক্তি পেলেন রেমন্ড ডেভিস
১৭ মার্চ ২০১১জানুয়ারি মাসের ২৭ তারিখে ডেভিস পাকিস্তানের লাহোরে দু'জন পাকিস্তানিকে গুলি করে হত্যা করে৷ যদিও আদালতে ডেভিস বলেছেন ডাকাতির হাত থেকে আত্মরক্ষার জন্য তিনি গুলি চালিয়েছিলেন৷
পাঞ্জাবের আইনমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ'র উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তাসংস্থা জানিয়েছে, লাহোর জেলে মামলার শুনানিতে প্রথমে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয় ডেভিসের বিরুদ্ধে৷ কিন্তু তারপর নিহতদের পরিবার জানায়, তাঁরা ক্ষতিপূরণ শারিয়া আইনের আওতায় ব্লাড মানি গ্রহণ করে ডেভিসকে ক্ষমা করে দিয়েছে৷ এরপরই আদালত ডেভিসকে খুনের মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়৷
গত জানুয়ারিতে হত্যাকান্ডের পর থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক বিবাদ চলে আসছিল৷ যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছিল, ৩৬ বছর বয়সি ডেভিস একজন কূটনীতিক৷ এবং কূটনৈতিক আইনে তাঁর দায়মুক্তি দেওয়ার দাবিও জানিয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র৷ কিন্তু ডেভিস যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ তে চুক্তিভিত্তিক কাজ করতেন বলে অভিযোগ তোলে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স বা আইএসআই৷ ডেভিসের মুক্তিতে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এ মামলাটি নিয়ে দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক বিরোধের অবসান ঘটলো বলে মনে করা হচ্ছে৷
শোনা যাচ্ছে, অ্যামেরিকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছে এবং তার পরিমাণ ৪.৩৫ মিলিয়ন ডলার৷ এর পাশাপাশি নিহতদের পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে অ্যামেরিকার ভিসাও দেয়া হয়েছে৷ তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন বলেছেন, মার্কিন সরকার কোন ধরণের ক্ষতিপূরণ দেয়নি এবং নিহতদের পরিবার এই ক্ষতিপূরণে সন্তুষ্ট নয় বলে জানানো হয়েছে৷
প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়