মার্কিন বন্দুকধারী সিআইএ এজেন্ট, দাবি পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১১পাকিস্তানের এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুই পাকিস্তানি নাগরিককে হত্যার দায়ে আটক মার্কিনি একজন ছদ্মবেশী সিআইএ এজেন্ট৷ এই মন্তব্য মার্কিন বক্তব্যের সম্পূর্ণ বিরোধী৷ কেননা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে আসছে, আটক রেমন্ড ডেভিস ইসলাবাদে মার্কিন দূতাবাসের একজন প্রশাসনিক এবং কারিগরি কর্মকর্তা৷ তাছাড়া কূটনীতিক রাহিত্যের আওতায় তাকে দ্রুত মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র৷
এদিকে, পাকিস্তানের অজনপ্রিয় সরকার মার্কিন চাপ থাকা সত্ত্বেও ডেভিসকে মুক্তি দিতে পারছে না৷ কেননা, বিরোধী পক্ষ এই নিয়ে যথেষ্ট সোচ্চার৷ এই মুহূর্তে যদি ডেভিসকে মুক্তি দেওয়া হয়, তাহলে পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন সরকারের পতনের আশঙ্কা করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা৷
এরই মাঝে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই দিল বিস্ফোরক তথ্য৷ বার্তাসংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এটা নিয়ে সন্দেহের কোন সুযোগ নেই যে ডেভিস সিআইএ'র জন্য কাজ করে৷ তিনি চুক্তিভিত্তিতে সিআইএ'র জন্য কাজ করছেন৷ তবে তিনি সিআইএ'র নিয়মিত সদস্য নন৷
একই প্রসঙ্গে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের আইনমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ বলেন, সাধারণত কূটনীতিকরা গুলিভর্তি বন্দুক নিয়ে ঘুরে বেড়ায় না৷ তাছাড়া তারা তাঁর মতো প্রশিক্ষিতও নন৷ তিনি নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে গুলি করেছিলেন৷
পাকিস্তান পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ২৭ জানুয়ারি গোলাগুলির ঘটনার দিনে ডেভিস এর গাড়ি থেকে একটি গ্লুক পিস্তল, পাঁচটি ম্যাগজিন, ৭৫টি বুলেট, একটি জিপিএস নেভিগেশন সিস্টেম এবং ১৯টি ক্রেডিট ও এটিএম কার্ডসহ বিভিন্ন জিনিস উদ্ধার করা হয়৷
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের তালেবান এবং আল-কায়েদা জঙ্গিদের মদদ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে৷ এই অভিযোগে বেশ খানিকটা ক্ষুব্ধ গোয়েন্দা সংস্থাটি৷ ডেভিসের বিষয়ে আইএসআই-এর মন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক আরো তিক্ত করে তুলতে পারে, এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ