1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফেরা

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৩ জুলাই ২০১৫

সাগরে ভাসমান অবস্থায় মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া ১৫৫ জন বাংলাদেশিকে বুধবার দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে৷ পতাকা বেঠকের মাধ্যমে তাঁদের বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়৷ এ নিয়ে মোট ৩৪২ জন বাংলাদেশিকে ফেরত আনা হলো৷

https://p.dw.com/p/1G3iW
Indonesien Flüchtlinge Rohingya
ছবি: Reuters/D. Whiteside

সাগরে ভাসমান অবস্থায় মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া ১৫৫ জন বাংলাদেশিকে বুধবার দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে৷ পতাকা বেঠকের মাধ্যমে তাঁদের বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়৷ এ নিয়ে মোট ৩৪২ জন বাংলাদেশিকে ফেরত আনা হলো৷

১৭ বিজিবি-র অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. রবিউল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ‘‘গত ২১শে মে মিয়ানমারের জলসীমা থেকে সাগরে ভাসমান অবস্থায় ২০৮ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করে মিয়ানমার৷ এদের মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্ত ১৫০ জনকে ৮ই জুন এবং ৩৭ জনকে ১৯শে জুন দেশে ফেরত আনা হয়৷ এছাড়া ২৯শে মে মিয়ানমারের জলসীমা থেকে দেশটির নৌ-বাহিনী আরো ৭২৭ জন অভিবাসনপ্রত্যাসীকে উদ্ধার করে৷ এদের মধ্য থেকেই ১৫৫ জনকে ফেরত আনা হয় বুধবার, ২২শে জুলাই৷ অর্থাৎ এ নিয়ে তিন দফায় মোট ৩৪২ জন নাগরিককে ফেরত এনেছে বাংলাদেশ৷

শুধু তাই নয়, মিয়ানমারে থাকা আরো ৩৭৯ জন বাংলাদেশিকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করার কথাও জানান লে. কর্ণেল মো. রবিউল ইসলাম৷ বলেন, ‘‘শনাক্তকরণ চূড়ান্ত হলে তাদেরও ফেরত আনা হবে৷ বলা বাহুল্য, যারা বাংলাদেশের নাগরিক, তাদের অবশ্যই দেশে ফেরত আনবো আমরা৷''

বুধবার সকাল ১১টার দিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ঘুমধুম জিরো পয়েন্টে দিয়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যান বিজিবি-র ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল৷ এরপর বেলা ১১টার দিকে শুরু হয় পতাকা বৈঠক৷ প্রায় ৩ ঘণ্টাব্যাপী পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়৷ তার পর শুরু হয় ১৫৫ জন বাংলাদেশিকে ফেরত আনার কার্যক্রম৷ বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তাদের নিয়ে ফেরত আসে বিজিবি-র প্রতিনিধি দল৷

মিয়ানমারের ঢেকিবনিয়া সীমান্তে বিজিপি ক্যাম্পে মিয়ানমার ইসিমগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনাল রেজিস্ট্রি ডিপার্টমেন্ট-এর সাথে বিজিবি-র পতাকা বৈঠক অনুষ্টিত হয়৷ বৈঠকে বাংলাদেশের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ১৭ বিজিবি-র অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. রবিউল ইসলাম৷ মিয়ানমারের পক্ষে নেতৃত্ব মিয়ানমার ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনাল রেজিস্ট্রি ডিপার্টমেন্ট-এর পরিচালক চ. নারিং৷

সীমান্ত এলাককায় উপস্থিত থেকে ১৫৫ জন বাংলাদেশিকে বুঝে নেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমদ৷ সেখান থেকে কক্সবাজার জেলা পুলিশ তাদের নিয়ে যায় কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে৷ পরে তাদের বক্তব্য এবং বিস্তারিত লিখে নিয়ে তাদের সমস্ত দায়িত্ব দেয়া হয় আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থাকে৷

ফিরে আসা ১৫৫ জনের মধ্যে বাংলাদেশের ১৪টি জেলার নাগরিক রয়েছেন৷ এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জের ৪১, ঝিনাইদহের ১২, মাদারীপুরের ১৫, কুষ্টিয়ার ৪, মাগুরার ৪, পাবনার ১২, যশোরের ৯, সিরাজগঞ্জের ২৪, চুয়াডাঙ্গার ১১, কুমিল্লার ৫, জয়পুর হাটের ৪, সুনামগঞ্জের ৮, সাতক্ষিরার ২ এবং ফরিদপুরের ৪ জন বাসিন্দা রয়েছে বলে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার শ্যামল কান্তি নাথ ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন৷

তিনি বলেন, ‘‘এইসব বাংলাদেশি নাগরিককে সমুদ্রপথে পাচার করা হচ্ছিল৷ উদ্ধারকৃতরা জানিয়েছেন, তাদের চাকরির কথা বলে মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে নেয়া হচ্ছিল৷ তাদের কাছ থেকে জন প্রতি ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকাও নিয়েছে দালালরা৷'' তিনি আরো বলেন, ‘‘পাচারের রুট কক্সবাজার হলেও সারাদেশ থেকে দালালরা এদের চাকরির কথা বলে নিয়ে আসে৷ এমন দালালদের নেটওয়ার্ক সারাদেশেই রয়েছে৷''

তবে শুধু বাংলাদেশিদের নয়, মিয়ানমারের নাগরিকদেরও তাদের দেশে পাঠানো হয়েছে৷ ১৭ বিজিবির উপ-অধিনায়ক ইমরান উল্লাহ সরকার জানান, ‘‘গত মে মাসে ৪৫৩ জন মিয়ানমারের নাগরিককে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে৷'' তাছাড়া ‘‘কক্সবাজারের উখিয়ায় বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে'' বলে জানান ইমরান উল্লাহ৷ তাঁর কথায়, জুন-জুলাই মাসেও কমপক্ষে ১০ জন মিয়ানমারের নাগরিককে অনুপ্রবেশের সময় ফেরত পাঠানো হয়েছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান