বর্ণভেদের সমাধান খুঁজছে ব্রিটেন
৪ অক্টোবর ২০১৩ভারতে জাতিভেদ প্রথা এখনও বহাল৷ কর্ম ও শিক্ষাক্ষেত্র থেকে শুরু করে সমাজের প্রতিটি স্তরেই এই ভেদাভেদ লক্ষ্যণীয়৷ কিন্তু দেশের বাইরেও এই ভেদাভেদ থেমে নেই৷ ব্রিটেনের রাম ধারিভালের কাহিনিই তার অন্যতম উদাহরণ৷ ব্রিটেনে আইটি পেশায় কাজ করতে গিয়ে হয়রানির মুখোমুখি হতে হয়েছে তাঁকে৷ অফিসের একটি বৈঠকে নতুন একজন ভারতীয় সহকর্মী তাঁকে তাঁর জাতি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন এবং তিনি দলিত হওয়ায় তথাকথিত ‘অচ্ছুত' বলে উল্লেখ করেন৷ তখন নিজেকে ভীষণ ছোট মনে হয়েছিল ধারিভালের৷
তাঁর মতো অনেকেই এ অভিজ্ঞতার শিকার৷ ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ সম্প্রদায়ের মধ্যে এই ভেদাভেদ বেড়েই চলেছে৷ এ কারণে ব্রিটেনের আইন প্রণেতারা এ বিষয়ে শক্ত পদক্ষেপ নেয়ার কথা ভাবছেন৷ এ বছরই যুক্তরাজ্যের ‘অ্যান্টি-ডিস্ক্রিমিনেশন ইকুয়ালিটি অ্যাক্ট' বদলানোর উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁরা৷ তবে সমালোচকরা বলছেন, এর ফলে জাতিভেদ আরো প্রকট হবে এবং সমস্যাটা ছোট থেকে বড় হয়ে উঠবে৷
রাম ধারিভাল ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, উচ্চ জাতের ব্রিটিশ ভারতীয়রা নিজেদের উঁচু জাতের দোহাই দিয়ে বেশ গর্ব বোধ করেন৷ যুক্তরাজ্যের হিন্দু ফোরামের সদস্য ভারতী টেইলর জানান, এই আইনের ফলে আরো বেশি মানুষ ক্ষতির সম্মুখীন হবেন৷ এর ফলে ভেদাভেদ আরো বেড়ে যাবে এবং পুরোনো ক্ষতকে আরো বাড়িয়ে দেবে এ আইন৷
জাতিভেদ সংক্রান্ত অন্তত ২৪টি ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করেছে আইন প্রণেতা হিলারি মেটকাফ ও তাঁর এক সহকর্মী৷ সেসব রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে জাতিভেদের কারণে কতজন ভারতীয় চাকরিচ্যুত হয়েছেন বা কত শিশু স্কুল ছাড়তে বাধ্য হয়েছে৷
রিপোর্টে তিনি লিখেছেন, নীচু জাতের মানুষদের শক্তিশালী করতে এবং তাদের অধিকারের জন্য ‘অ্যান্টি কাস্ট ডিস্ক্রিমিনেশন' আইন নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন৷ তবে ২০১৫ সালের আগে সেটা করা সম্ভব নয় বলে জানান মেটকাফ৷
ভারতী টেইলরের কথায় অবশ্য, এই আইন যে আসলে দরকার নেই, সেটা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করতে দু'বছর অনেক সময়৷