পাকিস্তানে বন্যায় সহস্রাধিক নিহত
১ আগস্ট ২০১০পাকিস্তান এখন স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা কবলিত৷ রবিবার বিকেল পর্যন্ত পাওয়া খবরে, সেদেশের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে বন্যায় প্রাণ হারিয়েছে এক হাজারের বেশি মানুষ৷ শুধু পেশাওয়ার, নওশারা এবং চারশাদা এলাকায় মৃতের সংখ্যা ৭১৩ জন৷ অন্যদিকে, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে মারা গেছে ৪৭ জন৷ জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দশ লাখ মানুষ৷
পানিবাহিত রোগ
পানিবাহিত রোগ দেখা দিয়েছে বন্যা কবলিত এলাকায়৷ সোয়াতে কলেরার কথা ইতিমধ্যেই স্বীকার করে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷ বন্যা দুর্গতদের উদ্ধার এবং ত্রাণ কর্মকান্ড চালাতে পাকিস্তান সরকার ত্রিশ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে৷ কিন্তু তারপরও পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক৷ রবিবার বন্যার মধ্যেই তিন শতাধিক মানুষ সরকারের সমালোচনায় মিছিল করেছে৷ তাদের দাবি, বন্যা দুর্গতদের আশ্রয় দিতে ব্যর্থ হচ্ছে প্রাদেশিক সরকার৷
এখানে সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে আকস্মিক বন্যা আর ভূমিধসের কারণে সম্পদহানী হয়েছে ব্যাপক৷ বন্যা কবলিত এলাকার মানুষরা তাই মানসিকভাবে অনেকটাই ভেঙ্গে পড়েছে৷ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটতে থাকা দুর্গতরা সাংবাদিকদের এই তথ্যই জানাচ্ছেন৷
চলছে উদ্ধার, ত্রাণ কার্যক্রম
এই মুহূর্তে আসলে ত্রাণের চেয়েও বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে উদ্ধারের দিকে৷ পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের কিছু এলাকা একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে৷ হেলিকপ্টার ব্যবহার করে সেসব এলাকার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেবার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ শনিবার রাত পর্যন্ত সেনারা ১৯ হাজার এরকম আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার করেছে৷ কিন্তু এখনো অনেককে ঘরবাড়ির ছাদে দাড়িঁয়ে উদ্ধারকর্মীদের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যাচ্ছে৷
এছাড়া ত্রাণ সরবরাহের ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা হিসেবে দেখা দিয়েছে রাস্তাঘাট৷ উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ অনেক সেতু ভেঙ্গে গেছে৷ রাস্তাঘাটও যান চলাচলে আর উপযোগী নেই৷ ফলে বন্যা দুর্গতদের ত্রাণ সরবরাহের উদ্যোগ এখনো গতি পায়নি৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়