পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যায় ৪ শতাধিক মানুষের মৃত্যু
৩১ জুলাই ২০১০তিনদিনের টানা বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় খাইবার-পাখতুনখা প্রদেশে বাড়িঘর, বহু সেতু, বিদ্যালয়, সড়ক, এবং রেলপথ ধ্বংস হয়ে গেছে৷ হাজার হাজার মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন৷ উদ্ধার তৎপরতার জন্যে পানিবন্দী গ্রামগুলোতে পৌঁছাতে কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে৷
প্রাদেশিক রাজধানী পেশোয়ারে তথ্যমন্ত্রী মিয়া ইফতিখার হুসেইন সাংবাদিকদের বলেন, বন্যার পানি বাড়ার কারণে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি৷ প্রাণহানি সম্পর্কে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা প্রাথমিক খবরের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই পর্যন্ত ৪০৮ জনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিতভাবে জানা গেছে৷
বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের সোয়াত উপত্যকা, নওশেরা এবং চারসাদা শহর৷ এইসব এলাকায় নদীতীরের ঘরবাড়ি এবং হোটেল বন্যার পানিতে ভেসে গেছে৷ নওশেরা শহরের অর্ধেকই এখন পানির নীচে৷ একটি সামরিক হাসপাতাল এবং ক্যান্টনমেন্ট এলাকার অন্যান্য ভবন এখন অর্ধেক পানির নীচে৷ উদ্ধার এবং ত্রাণ তৎপরতায় নিয়োজিত পাকিস্তান সেনাবাহিনী বলছে বন্যাকবলিত এলাকা থেকে তারা এই পর্যন্ত ১৪ হাজার ২৫০ জনকে উদ্ধার করেছে৷ সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বন্যা উপদ্রুত এলাকায় বিমান থেকে তারা প্রায় ৫০ টন খাবার ফেলেছে৷
এদিকে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী মিয়া ইফতিখার হুসেইন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছেন৷ তিনি বলেছেন, তারা যদি সাহায্য করতে চান, তাহলে এখনই সাহায্য করুন৷
প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম