নির্বাচনকালীন সরকার
১ সেপ্টেম্বর ২০১৩এদিকে বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য হান্নান শাহ ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, নাম যাই হোক নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে৷
ঢাকায় শনিবার এক সেমিনারে ড. কামাল হোসেন বলেন দেশের মানুষ চায় আগামী নির্বাচন যেন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হয়৷ দেশের মানুষের এই মতামতকে সম্মান জানান উচিত বলে মনে করেন তিনি৷ তিনি বলেন নির্দলীয় সরকারের অধীনেই সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব৷ তাই সরকারকে দলীয় মনোভাব বাদ দিয়ে সবদলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ভাবতে হবে৷ আর যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার না হয় তাহলে সর্বদলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে৷
এর জবাবে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক এবং বন ও পরিবেশমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ ডয়চে ভেলেকে বলেন নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী৷ সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক বা সর্বদলীয় সরকার বলতে কিছু নেই৷ সংবিধানে অন্তর্বর্তী সরকারের বিধান আছে৷ আর এই অন্তবর্তী সরকারের রূপরেখা নিয়ে কথা হতে পারে, আলোচনা হতে পারে৷ সংবিধান অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হওয়ার কথা বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর৷ তিনি জানান আওয়ামী লীগ একটি নির্বাচনমুখী দল৷ নির্বাচনী প্রচারণার কাজ তাই শুরু হয়ে গেছে৷ আর নির্বাচন হবে যথাসময়ে৷
তবে বিএনপি'র স্থায়ী কমিটি'র সদস্য হান্নাহ শাহ ডয়চে ভেলেকে জানান নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া আর কিছু মানবেন না তারা৷ তবে তার নাম তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়াও অন্য কিছু হতে পারে৷ তিনি বলেন এদেশে দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে না৷ তারা নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায় করে তবে নির্বাচনে যাবেন৷ ড. কামাল হোসেনের সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাবের ব্যাপারেও বিএনপি'র একই নেতিবাচক অবস্থান৷ তিনি বলেন ২০০৬ সালে সাবেক প্রধান বিচারপতি কে এম হাসানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে মানেনি আওয়ামী লীগ৷ কে এম হাসান ২২ বছর আগে বিএনপির সঙ্গে সামান্য সংশ্লিষ্ট ছিলেন এটাই তার দোষ৷ আর এই সংশ্লিষ্টতা বিচারপতি হিসেবে যোগদানের আগে৷ সেক্ষেত্রে শতভাগ আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনাকে বিএনপি নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে কিভাকে মেনে নেবে? তবে ড. কামাল যে বলেছেন দেশের মানুষ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় এটিই সত্য৷ সরকারকে তা বুঝতে হবে বলে মনে করেন হান্নান শাহ৷