‘বানের উদ্যোগে সাড়া নেই’
৩১ আগস্ট ২০১৩গত সপ্তাহে দেশের দুই নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে রাজনৈতিক সংকট নিয়ে টেলিফোনে কথা বলেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন৷ এর আগে পাঠান তাঁর দূত৷ জাতিসংঘ মহাসচিবের টেলিফোনের পর সাধারণ মানুষ এবং সুশীন সমাজ আশা করেছিল, নির্বাচনকালীন সরকার-ব্যবস্থা নিয়ে দুই দলের মধ্যে হয়ত সমঝোতার একটি উদ্যোগ দেখা যাবে৷ হয়ত সেখানে দুই দলই একটু ছাড় দিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য সামাধানে পৌঁছাবে৷ কিন্তু দুই দল জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও, তাদের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসেনি৷
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন জনসভায় আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট চাইতে শুরু করেছেন ইতিমধ্যে৷ শুক্রবারও তিনি ঢাকায় এক জনসভায় সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ মুক্ত দেশ গড়তে নৌকায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানান৷ তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন সংবিধানের অধীনেই হবে৷ কোনো অনির্বাচিত ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা দেয়া হবে না৷
১লা অক্টোবর থেকে আওয়ামী লীগের আনুষ্ঠানিক নির্বাচনি প্রচারণা শুরু হওয়ার কথা৷ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য মোহাম্মদ নাসিম ডয়চে ভেলেকে জানান, নির্বাচন যথা সময়েই হবে৷ আর আওয়ামী লীগ সেই নির্বাচনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত৷ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অনানুষ্ঠানিকভাকে প্রচারণার কাজ শুরু করে দিয়েছে৷ আনুষ্ঠানিক প্রচারণাও শুরু হবে৷ তাঁর কথা, দেশ এখন নির্বাচনমুখী হয়ে উঠছে৷
বিপরীতে ৮ই সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকার বাইরে জনসভা শুরু করছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া৷ ৫ই অক্টোবর পর্যন্ত তিনি নরসিংদি, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল – এই ছয়টি বিভাগে জনসভা করবেন৷ এর মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি পূরণ না হলে ঢাকায় মহসমাবেশ করে কোরবানির ঈদের পর দাবি আদায়ে সর্বাত্মক আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে৷ খালেদা জিয়া বৃহস্পতিবারও বলেন যে, কোনো অবস্থায়ই দলীয় সরকারের অধীনে তারা নির্বাচনে যাবেন না৷ আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করা হবে৷
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হান্নান শাহ ডয়চে ভেলেকে জানান, দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়৷ এছাড়া, সব দলের অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না৷ তাই সরকার নির্বাচনের জন্য যত দ্রুত নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার-ব্যবস্থা মেনে নেয়, ততই মঙ্গল৷