1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দিনে ২০ হাজার শিশুকে বাদ দেওয়া হচ্ছে!

২২ মার্চ ২০১১

প্রতিদিন অন্তত ২০ হাজার শিশুর প্রোফাইল মুছে ফেলছে ফেসবুক৷ কেননা, তাদের বয়সসীমা ফেসবুক নীতিমালা লঙ্ঘন করছে৷ তবে এরপরও অনেক শিশু বয়স লুকিয়ে ফেসবুক ব্যবহার করছে৷

https://p.dw.com/p/10esb
ফেসবুকে নিরাপত্তা একটি বড় ইস্যুছবি: AP

ফেসবুক এর প্রধান নিরাপত্তা উপদেষ্টা মোজেল থম্পসন স্বীকার করেছেন, অনেক মানুষ মিথ্যা তথ্য দিয়ে ফেসবুক ব্যবহার করছে৷ কেউ কেউ নিজের বয়স লুকাচ্ছে৷ এসব মিথ্যা তথ্য প্রদানকারীদের আটকাতে ফেসবুকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানান মোজেল৷ তবে, সেই ব্যবস্থায় গলদের কথাও স্বীকার করেছেন তিনি৷

অস্ট্রেলিয়ার সংসদের সাইবার নিরাপত্তা কমিটির সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সে মোজেল বলেন, প্রতিদিন ২০ হাজার মানুষের প্রোফাইল মুছে ফলছে ফেসবুক, যাদের বয়স নির্ধারিত সীমার নিচে৷

বলাবাহুল্য, অস্ট্রেলিয়ায় কমপক্ষে সত্তর লাখ মানুষ প্রতিদিন ফেসবুক ব্যবহার করে, অন্তত নব্বই লাখ মানুষ সপ্তাহে একবার আর এক কোটি দশ লাখ অস্ট্রেলিয়ান মাসে একবার ফেসবুক ব্যবহার করেন৷

তেরো বছরের নিচের শিশুদের ফেসবুকে প্রবেশ নিয়ে বেশ চিন্তিত অস্ট্রেলিয়ার আইন প্রণেতারা৷ এই চর্চা কিভাবে বন্ধ করা যায়, তাই নিয়ে ফেসবুকের সঙ্গে আলোচনাও করেছে সেদেশ৷ অস্ট্রেলিয়ার লেবার দলের সাংসদ গ্রেহাম পেরেট মনে করছেন, তরুণ-তরুণীরা ফেসবুকে প্রবেশের ক্ষেত্রে অভিভাবকদের অনুমতি গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা উচিত৷

তবে, ফেসবুক নিয়ে নানাবিধ বিড়ম্বনা থাকলেও গবেষকরা কিন্তু বলছেন ভিন্ন কথা৷ অস্ট্রেলিয়ার যোগাযোগ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ গুইনেথ হাওয়েল দিন কয়েক আগে জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা রাজনৈতিক আন্দোলন - সবক্ষেত্রেই কাজে আসছে সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমটি৷ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর ফেসবুকের ভূমিকা নিয়ে কাজ করছেন হাওয়েল৷ গত বছর নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ এর ভূমিকম্পের পর ফেসবুক নিয়ে গবেষণা শুরু করেন৷

গবেষণার শুরুতে অবশ্য হাওয়েল বুঝতে পারেননি, সামনে আরো কঠিন সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ অপেক্ষা করছে৷ দ্য ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন সিডনি'র এই গবেষক জানান, আমি বুঝতে পারিনি কু্ইন্সল্যান্ডের বন্যা এবং সাইক্লোন কিংবা পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার দাবানল বা ক্রাইস্টচার্চের পরবর্তী ভূমিকম্প আর জাপানের দুর্যোগও আমার গবেষণায় জায়গা করে নেবে৷

উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে ফেসবুক ব্যবহারকারীর বর্তমান সংখ্যা পঞ্চাশ কোটির বেশি৷ ২০০৪ সালে এই সাইটটি চালু করেন মার্ক সাকারবার্গ৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: জান্নাতুল ফেরদৌস

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান