‘তুই আলোর তারা'
১১ অক্টোবর ২০১৩সামহোয়্যার ইন ব্লগে গল্পটি লিখেছেন সাবরিনা সিরাজী৷ গল্পের নাম ‘মা' গল্পের ছোট্ট মেয়েটির মা নেই৷ বড় অসময়ে তিনি চলে যাওয়ায় পরিবারের কর্তা নিরালায় শোকাচ্ছন্ন, প্রকাশ্যে সদা দায়িত্বশীল৷ মায়ের আঁচল ধরে ধরে জীবনের পথ চলা শুরু করা মেয়েটি এখনো ফ্রক ছাড়েনি৷ স্কুল জীবনেই জীবনের পাঠ নেয়া হয়ে গেছে অনেকটা৷ ও জানে, বাবার অফিসে যাওয়ার সময় হলে মা সব ঠিকঠাক গুছিয়ে দিতেন, সবার অগোচরে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে তখন ঝিলিক দিয়ে যেতো ভালোবাসার একটা মুহূর্ত, মা সংসারের ভালোমন্দ সব দেখতেন৷ তখন ছোট বলে ও লাইটের সুইচ মাটিতে দাঁড়িয়ে ‘অন' করতে পারতো না৷ এখন পারে৷ মেয়েটি জানে, মায়ের অবর্তমানে তাকেই ধরতে হবে সংসারের হাল৷ বাবাকে সুখী দেখতে, সুস্থ রাখতে মায়ের মতো এখন তাকেও হতে হবে অভিভাবক৷ এক বিষণ্ণ সন্ধ্যায় বারান্দায় বসে মেয়ের কথা শুনতে শুনতে হঠাৎ করেই বাবা আবিষ্কার করলেন, মেয়ে বড় হয়ে গেছে৷ নির্জনে, সবার অলক্ষ্যে আকাশের দিকে তাকিয়ে তিনি এতকাল স্ত্রী-র কথা ভেবে অশ্রুপাত করেছেন৷ মেয়ের দিকে তাকিয়ে আজ তিনি হাসছেন৷ তাঁর ঘরে মায়ের ছায়া হয়ে আছে আদরের মেয়েটি, আকাশে তারা হয়ে আছে জীবনের ওপারে চলে যাওয়া জীবনসঙ্গী৷ মানুষ তো এভাবেই দুঃখ ভোলে৷ জীবন তো এভাবেই বয়ে চলে, তাইনা!
সংকলন : আশীষ চক্রবর্ত্তী
সম্পাদনা : সঞ্জীব বর্মন